মধুমতী সেতুর উদ্বোধন ১০ অক্টোবর

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ০১:০৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সেতুর সুফল পেতে কালনাঘাট-বেনাপোল পর্যন্ত ছয় লেন সড়ক * ব্যয় ১২ হাজার কোটি টাকা * কালনা-নড়াইল-যশোর সড়ক প্রশস্তকরণে ৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ
অপেক্ষার পালা শেষে নড়াইলের লোহাগড়ার মধুমতী নদীর কালনা পয়েন্টে ৬ লেনের দৃষ্টিনন্দন মধুমতী সেতুর দ্বার উন্মোচন ১০ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক।
ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) শ্যামল ভট্টাচার্য। শুক্রবার বিকালে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে নবনির্মিত মধুমতী সেতু পরিদর্শন করছেন।
সওজ ও পরিবহণ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ সেতু চালু হলে নড়াইল, যশোর, বেনাপোল স্থলবন্দর ও খুলনা থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী পরিবহণ মাগুরা-ফরিদপুর হয়ে যাতায়াতের পরিবর্তে কালনা হয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এতে বেনাপোল ও যশোর থেকে ঢাকার দূরত্ব কমে আসবে, সময়ও কমবে। কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও সওজ নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, সেতুতে ল্যাম্পপোস্টের কাজ এবং টোলপ্লাজাসহ যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে। গাড়ি চলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত সেতুটি। শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা।
সওজের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাইকার অর্থায়নে এ সেতু নির্মিত হয়েছে। জাপানের টেককেন করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতুর ঠিকাদার। প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, সেতুর মাঝখানে বসানো হয়েছে ১৫০ মিটার স্টিলের দীর্ঘ স্প্যান। নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) স্প্যানটি তৈরি হয়েছে ভিয়েতনামে। এর উভয় পাশের অন্য স্প্যানগুলো পিসি গার্ডারের (কংক্রিট)। ছয় লেনের এ সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির ও দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১০ মিটার। উভয় পাশে সংযোগ সড়ক ৪ দশমিক ২৭৩ কিলোমিটার, যার প্রস্থ ৩০ দশমিক ৫০ মিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয় ৯৫৯ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সেতুর কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।