আবাসিক বাণিজ্যিক ও শিল্প জোনে ভাগ করে টেকসই উন্নয়ন করব

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০১৮, ০২:৫৭ পিএম

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী হতে না পারলেও গাজীপুরের বর্ষীয়ান ও পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ আজমত উল্লাহ খান মাঠ ছাড়েননি। এবারো তিনি মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন। অতীতের ভুল শুধরে নিয়ে এবার জয়লাভের ব্যাপারে তিনি দৃঢ় আশাবাদী। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আজমত উল্লাহ খান বর্তমানে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। সাবেক টঙ্গী পৌরসভার মেয়র হিসেবে ১৮ বছর সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই আওয়ামী লীগ নেতার গাজীপুর তো বটেই, আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়েও ব্যাপক পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। নিজের যোগ্যতা বলেই সবকিছু অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচন সামনে রেখে গাজীপুরের প্রধান প্রধান সমস্যা, উন্নয়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, গতবারের ব্যর্থতা ও ভবিষ্যতের প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলার জন্য আজমত উল্লাহ খান সম্প্রতি ভোরের কাগজের মুখোমুখি হন।
মেয়র নির্বাচনের প্রাক্কালে ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে আজমত উল্লাহ খান বলেন, রাজধানীর নিকটবর্তী গাজীপুর সিটি করপোরেশন মূলত একটি শিল্পনগরী। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২টি পৌরসভা এবং গাছা, বাসন, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, পূবাইল ও কাউরদিয়া এই ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠন করেন। সিটি করপোরেশন হওয়ার পরে একটি সুন্দর পরিকল্পনা তৈরি করা সবচেয়ে জরুরি ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক এখন পর্যন্ত সেটা হয়নি। আমার পরিকল্পনা হচ্ছে আমি এই বিশাল সিটি করপোরেশনকে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এই তিনটি জোনে বিভক্ত করব। এখানে সুনিদিষ্ট আবাসিক এলাকা থাকবে, সুনিদিষ্ট শিল্প এলাকা থাকবে এবং সুনিদিষ্ট একটি বাণিজ্যিক এলাকা থাকবে। আবাসিক এলাকার ভেতরে যদি শিল্প এলাকা বা বাণিজ্যিক এলাকা গড়ে ওঠে তাহলে নাগরিকদের স্বাভাবিক ও সুন্দর নগর জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে। আমি প্রথমেই এই উদ্যোগ নেব। নগর ব্যবস্থাপনার শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না। তা বাস্তবায়নের জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে আমার বিস্তারিত পরিকল্পনা রয়েছে। সময় ও সুযোগ মতো আমি আমার পরিকল্পনা জনগণের সামনে তুলে ধরব।
আজমত উল্লাহ খান একে একে গাজীপুরের সমস্যা ও সমাধান প্রসঙ্গে বলেন, গাজীপুরে প্রধান প্রধান যে সমস্যাগুলো রয়েছে- এর মধ্যে একটি প্রধান সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্যও আমি পরিকল্পনা গ্রহণ করব। আমি যখন টঙ্গী পৌরসভার মেয়রের দায়িত্বে ছিলাম তখন পৌর এলাকার জন্য ‘জিআইএস’ পদ্ধতির ভিত্তিতে ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান করেছিলাম। টঙ্গীতে রাস্তার পাশে যেসব ড্রেন দেখা যায় তা পৌরসভার অর্থায়নে, সরকারের অর্থায়নে এবং আমাদের যে ডেভলপেমেন্ট পার্টনার রয়েছে- বিশেষ করে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, জাইকাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে ড্রেনেজ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলাম। এখন পুরো গাজীপুর এলাকার জন্য আমার একটি ‘ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান’ রয়েছে। যুগোপযোগী ও আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহারের মাধ্যমে এই ড্রেনেজ পরিকল্পনা করব।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় গাজীপুর সিটি একটি আবর্জনার স্ত‚পে পরিণত হয়েছে। এর কারণ হলো যে এখানে কোনো ডাম্পিং স্টেশন নেই। বর্জ্য নিয়ে রাখা যায় এমন একটি নির্দিষ্ট স্থান বিশাল গাজীপুরের কোথাও নেই। পৃথিবীর অনেক দেশ আবর্জনাকে সম্পদে পরিণত করছে। থ্রিআর পলিসির মাধ্যমে এটা সম্পদে পরিণত করা সম্ভব। বিদেশে আমার এ সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণ রয়েছে। আমি সেই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে আবর্জনাকে সম্পদে পরিণত করব। ক্লিনিক্যাল বর্জ্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। এগুলো দ্রুত ধ্বংস করা প্রয়োজন। পচনশীল আবর্জনা দিয়ে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব। আমি যখন টঙ্গী পৌরসভার মেয়রের দায়িত্বে ছিলাম তখন ব্র্যাকের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। নগরখান এলাকায় ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্ল্যান্ট করার পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু আমার পরবর্তীতে যারা দায়িত্বে এসেছেন তাদের অনীহার কারণে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়নি। কিভাবে বর্জ্য সরিয়ে নিতে হবে, কোথায় ডাম্পিং স্টেশন করতে হবে তা নির্ধারণ করে গাজীপুরকে একটি সুন্দর শহরে পরিণত করার জন্য আমার পরিকল্পনা রয়েছে।
টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্বরোপ করে তিনি বলেন, গাজীপুরে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বসবাস করে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। এজন্য আমার কিছু নিজস্ব পরিকল্পনা রয়েছে। এলাকার উন্নয়নে রাস্তা, কালভার্ট, ড্রেন- যাই নির্মাণ করব তাতে জনগণকে যদি সম্পৃক্ত করতে না পারি তাহলে কোনো উন্নয়নই ‘টেকসই ও মজবুত’ হবে না। সেজন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে, দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে সব কাজ হবে। প্রতিটি প্রকল্পের সামনে প্রকল্প বাস্তবায়নসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য লেখা থাকবে। প্রকল্পের কাজ কত দিনে শেষ হবে, কত টাকা খরচ হবে, কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তা জনগণ জানতে পারবে। সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বাইরেও আমি সকল শ্রেণিপেশার মানুষ ও যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন অথচ জয়ী হতে পারেনি তাদেরও সম্পৃক্ত করে একটি ‘পরিচালনা পরিষদ’ গঠন করব। তাদের সবার মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করব। প্রত্যেকটি কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করব।
সিটি করপোরেশনের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা হবে। আমাদের সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হলে সততার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হবে। সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত রাখা হবে। একজন সৎ ব্যক্তিত্বের অফিস হিসেবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নেব। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের একটা অর্গানোগ্রাম তৈরি করতে পারেনি। জব ডেসক্রিপশন হয়নি। কোনো সিটিজেন চার্টার নেই। এগুলো করতে সর্বোচ্চ ৪ মাস সময় লাগে। অথচ ৫ বছরে তা হয়নি। এটা গাজীপুরবাসীর দুর্ভাগ্য। জনগণের ট্যাক্সের টাকা যে জনগণের উন্নয়নের জন্য ব্যয় হচ্ছে এই বিশ্বাস টা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জনগণের মাঝে এখনো আসেনি। আমি তাদের এই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনব।
একজন জনপ্রতিনিধি যে সৎ মানুষ তা জনগণ ও উন্নয়ন সহযোগীদের বোঝাতে হবে। পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে আমি সেটা প্রমাণ করেছি। দরিদ্র ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ‘আইজিও প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা রয়েছে। পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকাল এই পরিকল্পনার আওতায় ২১টি বস্তির বাসিন্দাদের উন্নয়নের আওতায় এনেছি। সরকার শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারের ঝড়ে পড়া ছেলেমেয়েদের শিক্ষার আওতায় আনতে অতীতে কাজ করেছি। ইউসেপ-এর মাধ্যমে কারিগড়ি শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছিলাম। বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণীকে বিভিন্ন কোর্সে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। এবার নির্বাচিত হলে আবারো এই উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির ব্যবস্থাও করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকার বা পুলিশ প্রশাসনের একার পক্ষে একটি এলাকাকে পুরোপুরি সন্ত্রাস বা মাদকমুক্ত করা সম্ভব না- যদি এলাকার জনগণকে সম্পৃক্ত করা না যায়। আমি নির্বাচিত হলে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে জনগণকে নিয়ে কমিটি গঠন করে সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করব। জনগণকে সচেতন করে তাদের সঙ্গে নিয়ে গাজীপুরকে একটি সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেব।
গাজীপুর আওয়ামী লীগের ভেতরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ বিরোধ নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে এই মেয়র প্রার্থী বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বিশাল দল। বাংলাদেশের সব পাড়া-মহল্লা-পরিবারে আওয়ামী লীগের লোক আছে। তাই এই বড় দল থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছে থাকবেই। আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল, দলের ভেতরে-বাইরে গণতন্ত্রের চর্চা হয়। বেশি সংখ্যক প্রার্থী হওয়া এই গণতন্ত্র চর্চারই বহিঃপ্রকাশ। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে এক ধরনের হতো। বর্তমানে আইন অনুযায়ী রাজনৈতিকভাবে হয়। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়। আমি মনে করি দলের মধ্যে চাওয়া-পাওয়া সবারই থাকে। যেহেতু এবার প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন হচ্ছে, দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে হচ্ছে। তাই এবার আর কোনো বিভেদ নিয়ে কাজ করলে হবে না। এবার সব ভুল-ত্রুটি শুধরে নিয়ে সবাইকে সম্পৃক্ত করে কিভাবে জয়ী হওয়া যায় সেজন্য আমি উদ্যেগ নিয়েছি। তাই এবার কোনো সমস্যা হবে না বলে আমি আশাবাদী। তারপরেও কেউ যদি দলীয় নির্দেশ ভঙ্গ করে তাহলে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও জনগণ এখন অনেক সচেতন, তাই তারাই ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, গত সাড়ে চার বছরে গাজীপুরের জনগণের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। তারা এখন বুঝতে পেরেছে যে একটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মতো লোক যদি না আসে তাহলে এলাকার কোনো উন্নয়ন হবে না। একারণে এখন আমার পক্ষে ও নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগ এবং জনগণের মধ্যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ একটি আশার জায়গায় চলে এসেছে। তাদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে, আজমত উল্লাহ খান জয়লাভ করলে গত ৫ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি তা তিনি করতে পারবেন। কেউ বিরোধ সৃষ্টি করলে সে জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। জনগণ শুধু তাকে প্রতিহতই করবে না প্রত্যাখ্যানও করবে। তাই কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবে বলে আমি মনে করি না।
এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক কোনো ফেক্টর হবে বলে আপনি মনে করেন কিনা- জানতে চাইলে আজমত উল্লাহ খান বলেন, আমি এটা মনে করি না। কারণ মানুষ এখন উন্নয়ন চায়। মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। তাই কার মাধ্যমে তাদের উন্নয়ন সম্ভব মানুষ এটা বোঝে। তাছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যক্তিত্বের একটা প্রভাব থাকে। আমি দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের পাশে আছি। আমার সম্পর্কে মানুষের ধারণা আছে। তাই প্রতীক আমার জন্য কোনো সমস্যা হবে না। সব শ্রেণিপেশার মানুষ আমাকে ভোট দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তরুণ সমাজকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যুবক ও তরুণরাই দেশের ‘মেরুদণ্ড’। এই দেশের উন্নয়নের জন্য তাদের কাজে লাগাতে হবে। এজন্য বেকার সমস্যা সমাধান করতে হবে। বেকার সমস্যার সমাধান শুধু মিল-কারখানায় চাকরির মাধ্যমেই হয় না। আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে আমরা যুবসমাজকে বেশি কাজে লাগাতে পারি। গাজীপুরে ব্যবসার অনেক সুযোগ আছে। বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা সম্ভব। যুবসমাজকে নেশা বা মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে। এজন্য আমার পরিকল্পনা রয়েছে। যুবকদের আগ্রহ ও মানসিক শক্তি রয়েছে। এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সিটি করপোরেশনের আঙ্গিকে নতুন কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করব- যেন যুবসমাজ বিপথে না যায়, বেকারত্ব থেকে মুক্তি পায়।
নির্বাচন সামনে রেখে গাজীপুরবাসীর কাছে আজমতউল্লাহ খানের আবেদন ও অনুরোধ হলো, নাগরিক হিসাবে গাজীপুরবাসীর যে চাহিদাগুলো রয়েছে এবং তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ তা পেতে পারে সেই ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা আমার রয়েছে। এ জন্য আগামী নির্বাচনে আমি গাজীপুরবাসীর সহযোগিতা ও ভোট চাই। আমাকে ভোট দিলে তারা আশাহত হবেন না। তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ হবে না। সবাইকে নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সামিল করব।