সোহেল চৌধুরী হত্যার সাক্ষ্য ১১ ডিসেম্বর

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ০২:২১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন আদালতে কোন সাক্ষী হাজির হননি। তাই রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময়ের আবেদন করা হয়।
এ আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আগামী ১১ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। মামলাটিতে ৩ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরিন শিল্পী রাতে এ তথ্য জানান।
এছাড়া এদিন কারাগারে থাকা তিন আসামি- শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী এবং তারিক সাঈদ মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় কারা দপ্তর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করে আসামিদের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট পরানো হয়। পুলিশেরও বাড়তি নিরাপত্তা ছিল।
এছাড়া এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নীচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
এরপর ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
তবে ২০০৩ সালে এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল৷ ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।