ঢাবিতে সময়মতো এপিআই পার্ক না হওয়া বড় চ্যালেঞ্জ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৩৬ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক ভোরের কাগজকে বলেন, ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রায় স্বনির্ভর। দেশের ওষুধ শিল্পের এই বলিষ্ঠ অবস্থানের পেছনে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান। এখন আমরা বছরে ওষুধ চাহিদার ৯৮ শতাংশই নিজেরা উৎপাদন করছি।
বিশ্বের আর কোনো দেশই তার চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ নিজেদের কারখানা থেকে উৎপাদন করতে পারে না। বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানির প্রোডাক্টের মান নিয়ে দেশের মানুষ গর্ব করে। দেশের অধিকাংশ ওষুধ কারখানা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস (জিএমপি) নীতিমালা অনুযায়ী ওষুধ উৎপাদন করছে। উৎপাদিত ও রপ্তানিকৃত ওষুধগুলোর মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তির এন্টিবায়োটিক থেকে শুরু করে ইনসুলিন, বিভিন্ন রকম টিকা, এন্টিক্যান্সার ড্রাগ, এইচআইভির ওষুধ, বার্ড ফ্লুর ওষুধ, এমনকি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার ওষুধও রয়েছে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের টিকা উৎপাদনের কাজও চলছে। এ কথাও সত্য যে, কিছু কোম্পানি আছে নিম্নমানের, বাজে ও নকল ওষুধ বানায়। এসব কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এসব প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা গেলে গার্মেন্টস শিল্পের পর দ্বিতীয় রপ্তানি আয় আসবে এই ওষুধ শিল্প থেকে।
অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) বা ওষুধ শিল্প পার্কের কাজ দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়ে এই ওষুধ প্রযুক্তিবিদ বলেন, এই পার্কটি হলে ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের আমদানিনির্ভরতা কমবে। শুধু তা-ই নয়, কাঁচামাল রপ্তানি করাও সম্ভব হবে। সময়মতো ওষুধ শিল্প পার্কটি না হওয়াটা এই শিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আশা করছি, শিগগিরই এই পার্কের কাজ শেষ হবে এবং উৎপাদনে যাবে।