×

জাতীয়

‘জঙ্গিরা কুকর্ম করেই যাবে, সেই বাধা অতিক্রম করতে হবে’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০১৮, ০২:২১ পিএম

‘জঙ্গিরা কুকর্ম করেই যাবে, সেই বাধা অতিক্রম করতে হবে’
   
জঙ্গিরা এখনও আছে। তারা থেমে থাকবে না। কুকর্ম করেই যাবে। তাদের এই কুকর্মের বাধা অতিক্রম করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ থাকবে। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না। সবাই এ দেশের নাগরিক। এখানে তো প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলমানরা একসঙ্গে বাস করছে। তাই এ ধরনের হামলা আমাদের কাম্য নয়।’ ২০০১ সালে রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার প্রত্যক্ষদর্শী সেদিনের অনুষ্ঠানের তবলা বাদক এনামুল হক ওমর একথা বলছিলেন। ১৮ বছর আগের সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রবীণ এই তবলা বাদক বাংলা বলেন, ‘২০০১ সালের পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছিল সকাল সোয়া ৬টায়। আর বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৭টা থেকে পৌনে ৮টার মধ্যে। এটি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক যে, বাঙালি সংস্কৃতির ওপর এরকম একটি হামলা হয়েছে। এরকম তো হচ্ছেই। তার আগেও হয়েছে। উদীচীর সম্মেলনে হামলা হয়েছে।’ এনামুল হক ওমর বলেন, ‘যখন বোমার বিস্ফোরণ হলো, হামলাকারীর পেটের দিক থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ওপর দিকে উঠতে দেখলাম। পর মুহূর্তেই আমি মাইক্রোফোন নিয়ে একটা কথা বলেছিলাম, আপনারা হইচইকরবেন না। তেমন কিছু হয়নি। অনুষ্ঠান চলবে। এ কথা বলার পরই খায়রুল আনাম শাকিল আমার পিঠে থাপ্পড় দিয়ে বললেন, এই কী বলেন! তখন আমি আর কিছু বললাম না। বিস্ফোরণের পর যে দৌড় মানুষ দিয়েছিল, আমার বলার পর এই দৌড়টা একটু কমেছিল। আমি যদি এ কথাটা না বলতাম, তাহলে পায়ের নিচে পড়েও অনেক মানুষ হতাহত হতো। এরকম একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাচ্চাদের চেহারার দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়েছে কিছু সময়ের জন্য যে, তাদের প্রাণ ছিল না। সবাই একটা ঘোরের মধ্যে ছিল কিছুক্ষণ। যখন কান্নাকাটি শুরু হলো, তখন মনে হলো তারা যেন সজাগ হলো। তখন আমরা সবাইকে মঞ্চ থেকে নামানোর চেষ্টা করলাম যে, আরও কী জানি কী হয়। এমন দুঃখজনক ঘটনা সবাই টেলিভিশনে দেখেছে। ততক্ষণে একটা প্রতিক্রিয়া চারদিকে শুরু হয়ে গেছে। বাঙালি সংস্কৃতির জন্য আসলেই এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা।’ এনামুল হক ওমর বলেন, ‘আমরা তো ছোটবেলা থেকেই কাজ করছি। জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মেলন পরিষদের সঙ্গে যুক্ত আছি ছোটবেলা থেকেই। রবীন্দ্র গবেষক ও সাংবাদিক ওবায়দুল হকের সংস্পর্শে এসে ধন্য হয়েছি। সন্‌জিদা আপাদের কাছে অনেক কিছু শিখেছি। আমি ছোটবেলা থেকেই এর সঙ্গে জড়িত। প্রথমে খেলাঘর করতাম। তারপর উদীচীও করেছি। সুনির্দিষ্টভাবে কোনও সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম না। সবখানে যেতাম; শিশু একাডেমি, কচিকাঁচার মেলা, খেলাঘর আসর ও বগুড়া থিয়েটার ইত্যাদি। আমি ৭০ সাল থেকে শিশু একাডেমি, শিল্প একাডেমিতে জড়িত ছিলাম। সব জায়গাতেই আমার বিচরণ ছিল। তবলা বাজাতাম। সবাই ডাকতো। সবখানেই যেতাম। অন্যরকম একটা অনুভূতি ছিল। ছায়ানটের সঙ্গে ২৫ বছর ধরে আছি।’ প্রবীণ এই তবলা বাদক আরও বলেন, ‘আমরা কিন্তু ২০০১ সালের হামলার পরের বছরই অনুষ্ঠান করেছি। দুমড়ে-মুচড়ে যাইনি। দুঃখটা হলো, এটার একটা বিচার কার্যক্রম এখনও শেষ হয়নি। যারা জড়িত তাদের শাস্তি কার্যকর হয়নি। এটা আমাদের আশাহত করে। আমরা আশা করি এসবের বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ হবে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App