গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার কারণেই দেশের উন্নয়ন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৫ এএম

ছবি: বিটিভি থেকে সংগৃহীত



গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার কারণেই দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে হবে। মন্দার প্রভাব যেন আমাদের ওপর না আসে, সে জন্য আমাদের সতর্ক হয়ে চলতে হবে। মিতব্যয়ী হতে হবে, সঞ্চয়ী হতে হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, তেল, পানি সবকিছু ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে হবে।


বেলা ১১টা ২০ মিনিটে এ সেনানিবাস উদ্বোধন করেন তিনি। পরে তিনি সেনানিবাস এলাকায় একটি গাছের চারা রোপন করেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে আয়োজিত মোনাজাতে অংশ নেন। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে মিঠামইনে পৌঁছান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা, গরিব দেশে শক্তিশালী বাহিনী গড়ে তোলা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতিমালা তৈরি করে যান তিনি। সেই নীতিতে আমরা ফোর্স গঠন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সেনাবাহিনীর উন্নয়ন তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করেছি। সিলেট, রামু ১০ পদাতিক প্রতিষ্ঠা করেছি। এ ছাড়া বিভিন্ন ফরমেশনের অধীন তিনটি ব্রিগেড, ৫৮টি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছি। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতুর মাওয়া জাজিরায় নিরাপত্তার লক্ষ্যে সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করেছি। রাজবাড়ী ও ত্রিশালে নতুন দুটি সেনানিবাসের কার্যক্রম চলছে। সর্বোপরি সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সর্চোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর জন্য জাহাজ, হেলিকপ্টার, চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক ক্রয় করেছি। তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সরঞ্জামাদি ও আধুনিক যানমালও ক্রয় করেছি। পাশাপাশি সেনাবাহিনীতে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি যুক্ত করা হয়েছে। সেনাসদস্যদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ, বাসস্থানসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।