মাছ মাংসের বাজারে আগুন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৯ এএম

ফাইল ছবি
নিত্যপণ্যের বাজারে অস্বস্তি চরমে। চাল-আটা, তেল-চিনির দাম বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দাম বৃদ্ধির আগুন লেগেছে মাছ-মাংসের। পুরো শীতের মৌসুমেও সবজির দাম চড়া দামে কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। এখন গ্রীষ্মের সবজি আসা শুরু করলেও দাম উচ্চমূল্যে রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) মাছ-মাংসের বাজারে রীতিমত আগুন লেগেছে বললে বেশি বলা হবে না। ফলে মধ্যবিত্তের ও নিম্নমধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে প্রাণিজ আমিষ জাতীয় এ দুটি পণ্য।
রাজধানীর মহাখালী, তেজকুনিপাড়া ও কারওয়ান বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বরবটি, গোল বেগুন, কচুর লতিসহ কয়েকটি সবজির দাম শতক ছুঁয়েছে। এছাড়া করলা, ঢ্যাঁড়শ, পটোল, চিচিঙ্গাসহ বেশিরভাগ সবজিও বিক্রি হচ্ছে শতকের কাছাকাছি দামে।
সবজি বিক্রেতারা বলেছেন, ইফতারি তৈরিতে ব্যবহার হয় এমন কিছু সবজির চাহিদা রোজায় বাড়ে। জোগানে ঘাটতি না থাকলেও চাহিদা বাড়ার কারণেই মূলত দাম চড়ে যায়। ইফতারির অন্যতম উপাদান বেগুনি। রোজার এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও এখনই বাজারে প্রতি কেজি গোল বেগুন ৯০ থেকে ১০০ এবং লম্বা বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতার দামও বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা দরে।
কিছুদিন কাঁচামরিচের দাম কম থাকলেও ধীরে ধীরে দাম বাড়ছে মরিচেরও। বড় বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। তবে পাড়া-মহল্লায় ২৫০ গ্রাম মরিচ কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
সেই হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ কিনতে লাগছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে কচুরলতি। এক কেজি লতির দাম বিক্রেতারা হাঁকছেন ১২০ টাকা। শজনে ডাঁটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়।
বিক্রেতাদেরই ভাষ্য, বছরের এ সময় মুলার কেজি ২০ টাকার আশপাশে থাকে। তবে এ সবজিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। তবে মোটামুটি নাগালের মধ্যে রয়েছে টমেটো, শিম, পেঁপে। এর মধ্যে টমেটো ৩০ থেকে ৪০, শিম ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে মুলার কেজি ৪০ টাকা শুনে চোখ কপালে উঠলো এক ক্রেতার। তিনি জানান, মুলার দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। মাসখানেক ধরে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। হাড়সহ প্রতিকেজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। হাঁড় বাদে কিনতে গেলে অতিরিক্ত আরও ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দিতে হয়। অথচ মাসখানেক আগেও হাড়সহ গরুর মাংস কেনা যেত ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। মধ্যবিত্তদের অনেকেই গরুর মাংসের বাড়তি দামের কারণে ভিড় করছেন ব্রয়লার মুরগি ও মাছের বাজারে। ফলে এ পণ্য দুটির দামও তেতে আছে।