তিস্তার বিষয়ে ভারতকে চিঠি বাংলাদেশের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৪ এএম

ফাইল ছবি
তিস্তা থেকে পানি প্রত্যাহারে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে দুটি খাল খনন করা হচ্ছে। আর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে দিল্লিকে কূটনৈতিক চিঠি বা নোট ভারবাল পাঠিয়েছে ঢাকা। গণমাধ্যমকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। ভারতকে চিঠি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে লিখবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা নোট ভারবালের মাধ্যমে তথ্য জানতে চেয়েছি।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নোটে হালনাগাদ তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। পানির প্রবাহ কমে গেছে। বাংলাদেশ যে তথ্যগুলো পেয়েছে, তা ভারতের সঙ্গে বিনিময় করেছে। এটা হয়তো তাদের অনেক দিন আগের পরিকল্পনা। এখন হয়তো জমি অধিগ্রহণ করছে। এখনই যে খাল কেটে ফেলেছে– এমন কিছু নয়। পানি প্রবাহ কমে গেছে এগুলো হওয়ার আগেই।
ভাটির দেশকে না জানিয়ে ভারতের এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এটি বেশ পুরোনো বিষয়। এ জন্য জানতে চাওয়া হয়েছে। সেখানে এখনও কিছু হয়নি। হওয়ার আগে উদ্বেগ প্রকাশ করারও কিছু নেই।
সম্প্রতি ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগ প্রায় এক হাজার একর জমির মালিকানা পেয়েছে। এ জমির মাধ্যমে তিস্তার পূর্ব তীরে দুটি খাল খনন করবে প্রশাসন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে কিনা– এর উত্তরে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনের মধ্যেই দেখছে। এর বাইরে একত্রীকরণ এবং তৃতীয় দেশে স্থানান্তরে সমাধান দেখছে না ঢাকা। এ জন্য আমরা একটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। যদি এটিতে সফল হই, তবে বড় সংখ্যায় রোহিঙ্গাদের আমরা পাঠাতে পারব। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল ১১০০-১২০০ রোহিঙ্গার যাচাই নিশ্চিতের একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এ যাচাই শেষ হলে প্রত্যাবাসনের বাকি ধাপগুলো পরীক্ষা করা হবে।