সম্মান নিয়ে পদত্যাগ করুন, নইলে করুণ পরিণতি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩, ০৪:২২ পিএম

বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচন চলাকালে সিইসির পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিক্ষোভ সমাবেশের ছবিটি তুলেছেন ভোরের কাগজের ফটোসাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন


ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এই কমিশন দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একজন মেয়র প্রার্থীর নিরাপত্তা দিতে পারলো না। তাছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তার বক্তব্যে বলেছেন হাতপাখার মেয়র প্রার্থী কি ইন্তেকাল করেছেন? তার বক্তব্য আর আওয়ামী লীগের বক্তব্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এই ব্যাক্তি (সিইসি হাবিবুল আউয়াল) কমিশনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কোনোভাবেই থাকতে পারে না। ভালো চাইলে সম্মান নিয়ে পদত্যাগ করুন। না হলে জনগণের আন্দোলনে করুণ পরিণত ভোগ করতে হবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচন চলাকালে হাতপাখার প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিমের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও সিইসির পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। শুক্রবার (১৬ জুন) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী এই বিক্ষোভে অংশ নেয়।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, সরকারের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে একজন মেয়র প্রার্থীর রক্ত ঝরিয়ে, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে ও ভোটারদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়ে নৌকার বিজয় করা মানে আওয়ামী লীগের দৈন্যদশা জাহির করা।
সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে ছাড়া কোনো নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন অংশ নেবে না৷ ফয়জুলের করিমের ঝরানো প্রতি ফোটা রক্তের বদলা নেয়া হবে।

সমাবেশে দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ছাড়াও সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মেকাররমের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় দিয়ে নয়াপল্টন, নাইটিঙ্গেল মোড়, ফকিরাপুল ঘুরে আবার বায়তুল মোকাররমে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে, সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই পল্টন মোড় থেকে বায়তুল মোকাররম পর্যন্ত অবস্থান নেয় পুলিশের সদস্যরা। পল্টন মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয় জলকামান।