মানসম্মত পাবলিক টয়লেট নিশ্চিত করতে হবে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ০৬:০০ পিএম

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এসময় মেয়রের পাশে ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও নেপালের ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটির মেয়র চিরি বাবু মহারজন। ছবি: ভোরের কাগজ



ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার সব পেট্রোল পাম্প, দোকানপাট, মার্কেট ও শপিং মলে বাধ্যতামূলকভাবে মানসম্মত পাবলিক টয়লেট নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ওয়াটারএইড, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফ কলেজ অব ইন্ডিয়া (এএসসিআই), বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ও কিম্বারলি-ক্লার্কের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘সাউথ এশিয়ান এক্সচেঞ্জ অন পাবলিক স্যানিটেশন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের তেলেঙ্গানার গ্রেটার ওয়ারঙ্গল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের মেয়র গুন্ডু সূধা রানি, পিরজাদিগুরা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের মেয়র জাক্কা ভেংকট রেড্ডি, নেপালের ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটির মেয়র চিরি বাবু মহারজন, গোডাওয়ারি মিউনিসিপালিটির মেয়র গজেন্দ্র মহারজন, ওয়াটারএইড দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. মো. খায়রুল ইসলাম, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, প্রফেসর ভি. শ্রীনিবাস চারি, পরিচালক, সেন্টার ফর আরবান গভর্নেন্স, এনভায়রনমেন্ট, এনার্জি, অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট: অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফ কলেজ অব ইন্ডিয়ার (এএসসিআই) সহযোগী অধ্যাপক ড. এম স্নেহলতা প্রমুখ।
‘আমি নির্দেশ দিচ্ছি, আপনাদেরকে পাবলিক টয়লেটের দায়িত্ব নিতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যদি না করেন, আমাদের সিটি করপোরেশন টিম ব্যবস্থা নেবে’ - মো. আতিকুল ইসলাম, মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
এসব পাবলিক টয়লেট সংশ্লিষ্ট মালিকদের নিজ উদ্যোগেই করতে হবে। এসব পাবলিক টয়লেট সুন্দর ব্যবস্থাপনায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে ডিএনসিসির টিম গিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, পেট্রোল পাম্প, গ্যাস স্টেশন, দোকানপাট, মার্কেট ও শপিং মল আছে, আপনাদেরকে অবশ্যই পাবলিক টয়লেট করতে হবে। নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকতে হবে। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, আপনাদেরকে পাবলিক টয়লেটের দায়িত্ব নিতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যদি না করেন, আমাদের সিটি করপোরেশন টিম ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করবো প্রত্যেক গ্যাস, পেট্রোল স্টেশন ও শপিংমলে পাবলিক টয়লেট স্থাপন করবেন। এছাড়া, আমি সমাজের সিভিল সোসাইটিসহ সকল নাগরিকদের বলছি, আপনারা আমাদের পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করুন ও আমাদের যে ‘সবার ঢাকা অ্যাপ’- আছে সেখানে গিয়ে আপনাদের মতামত দিন। কারণ আপনাদের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ।

ডিএনসিসি মেয়র জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৪০টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপে এসব পাবলিক টয়লেটের লোকেশন (অবস্থিতি) দেয়া আছে। অ্যাপ ওপেন করলে লোকেশনগুলো দেখা যাবে।
আলোচকরা পাবলিক স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতনতা নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ও ভাবনা উপস্থাপন করেন; পাশাপাশি, মতবিনিময়কালে কোন বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন সে বিষয়ে আলোকপাত করেন তারা। অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান সমস্যাগুলোও তুলে ধরা হয়।