জাল সনদ রুখতে ব্লকচেইন প্রযুক্তি টেকসই সমাধান

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম

জাল সনদ বানানো বন্ধ করতে ব্লকচেইন প্রযুক্তি টেকসই সমাধান হতে পারে বলে মনে করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, জাল সনদ রোধে, ভূমি নিবন্ধন, বিয়ে ও বিচ্ছেদ সনদের ক্ষেত্রে ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার হলো টেকসই সমাধান। একইরকমভাবে এই প্রযুক্তিটি বিশ্বের ডিজিটাল অর্থ লেনদেনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৪র্থ ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫ কোটি তরুণ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই ৫ কোটি জনসংখ্যা নেই। এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডটা আমরা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ভোগ করতে পারবো। আমাদের এই ৫ কোটি শিক্ষার্থীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ ও প্রবলেম সলভিং মাইন্ড সেট নিয়ে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চান। যারা ব্লকচেইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স ও সাইবার সিকিউরিটির মতো আধুনিক প্রযুক্তি খাতে দক্ষতা অর্জন করে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে। কিন্তু এসব বিষয়ে জ্ঞানের অভাব থেকে ভয় ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই সচেতনতা ও সক্ষমতা অর্জনে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। ভবিষ্যতে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্বাচন প্রক্রিয়াটাও সম্পন্ন করা হবে।
ব্লক চেইন অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশের সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ এন করিমের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ইডিজিই প্রকল্পের অধীনে ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিমন্ত্রী।
ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের (বিসিওএলবিডি) আহবায়ক ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. কায়কোবাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন-আইসিটি সচিব মো. শামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রানাজিত কুমার ও সাউথ এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সিনিয়র বিনিয়োগ কর্মকর্তা ইফরাদ চৌধুরী।
আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী। প্রতিযোগিতায় 'প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী' চ্যাম্পিয়শীপ পুরস্কার জিতেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি’র ব্লকচেইন দল “টিম ফার্মার্স”।
বিজয়ী হিসেবে তারা পেয়েছে ২ লক্ষ টাকার ডামি চেক। এক লক্ষ টাকার সিলভার পুরস্কার জিতেছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দল- টিম অ্যাপো ক্যালিপ্স। পঞ্চাশ হাজার টাকার ব্রোঞ্জ পুরস্কার জিতেছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনলোজি’র দল “টিক হেক্স” ও পঞ্চাশ হাজার টাকার সেরা প্রোটোটাইপ পুরস্কার জিতেছে সিলেট ক্যাডেট কলেচের দল গ্রে ডেভস।