ভোটাধিকার হরণ করে স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করেছে সরকার

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৪৩ পিএম

পার্টির মহানগর উত্তরের বিশেষ সভায় জিএম কাদের
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, দেশের প্রতিটি মানুষের মালিকানার চাবিকাঠি হচ্ছে ভোটাধিকার। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে সরকার স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করেছে। তাই ন্যায় বিচারভিত্তিক এবং সমতার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন সমাজ গঠন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এটা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের নামেই। দেশের মালিকানা হারিয়ে মানুষ এক শ্রেণির দাসে পরিণত হয়েছে। দাসদের ম্যানেজ করতে সুবিধাভোগী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। মানুষের বাক ও চিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। আইন-কানুন তৈরি করে মানুষের স্বাভাবিক অধিকার খর্ব করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির মহানগর উত্তরের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, সাধারণ মানুষ, ভোটের প্রার্থী এবং রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা বলছে- আমরা ভোট দিতে পারছি না। কখনো কখনো সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারলেও সরকার ভোটের ফলাফল পাল্টে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশের মলিক হচ্ছে দেশের জনগণ। তারা দেশের ও ক্ষমতার মালিকানাস্বত্ত্ব ভোটের মাধ্যমে ব্যবহার করবে। ভোটের মাধ্যমে তারা প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। প্রতিনিধিরা জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করবে। জনগণের ইচ্ছামত প্রতিনিধিরা দেশ চালাতে ব্যার্থ হলে জনগণ আবার ভোটের মাধ্যমেই প্রতিনিধি পরিবর্তন করবে। এভাবেই বৈষম্যহীন একটি দেশের মানুষের প্রত্যাশা দেশ গণতান্ত্রিকভাবে চলবে। এটাই আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সারাদেশে গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশে লোক বাড়ানো হয়েছে। সারাদেশের মানুষকে নজরদারির আওয়তায় এনে এক ধরনের শাসনের মধ্যে রেখেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে সব মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখবে সরকার। কে কী করছে, কোথায় খাচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেয়া হচ্ছে। দেশটাকে জেলখানা এবং দেশের মানুষকে ক্রীতদাস বানাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশটা একটি কারাগারে পরিণত হবে। আর আমাদের ক্রীতদাসের মতো থাকতে হবে। লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে পাওয়া দেশ একটি গোষ্ঠীর কাছে বন্ধক দিয়ে আমরা ক্রীতদাস হতে পারি না। আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তরের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে ও পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।