‘কাজী পেয়ারা’র জনক এম বদরুদ্দোজা আর নেই

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম

ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা
কিংবদন্তি কৃষিবিজ্ঞানী, আধুনিক কৃষি গবেষণার পথিকৃৎ কাজী পেয়ারার জনক হিসেবে খ্যাত স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ইমেরিটাস বিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা মারা গেছেন।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকাল ৪টায় বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তিনি দুই পুত্র, এক কন্যা, পাঁচ জন নাতি-নাতনি ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রখ্যাত এই কৃষি বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে কৃষি ক্ষেত্রে দেশের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি তাঁর সৃষ্টিশীল কর্মের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়া তার মৃত্যুতে মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী শোক শোকবার্তায় বলেন, কাজী এম বদরুদ্দোজা এদেশের কৃষি গবেষণার পথিকৃৎ। দেশের কৃষি গবেষণায়, গবেষণার সম্প্রসারণে ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের শক্তিশালী কাঠামো তৈরিতে তাঁর অনন্য অবদান রয়েছে। কৃষিখাতে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে পাকিস্তান কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের পদ পরিত্যাগ করে ১৯৭৩ সালে ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা দেশের কৃষি গবেষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি কৃষি গবেষণার সংস্কার, উন্নয়ন ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তার হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি গবেষণার বুনিয়াদ রচিত হয়।
প্রয়াত ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের শীর্ষ পদে দীর্ঘদিন নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
প্রখর মেধা, পেশাগত দক্ষতা ও সাংগঠনিক নেতৃত্ব প্রদানের গুণাবলির অধিকারী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা দেশের কৃষি গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে ' স্বাধীনতা পুরস্কারে' ভূষিত হন।