নারী চা শ্রমিকদের জীবনমান ওপর বিলসের গবেষণা প্রতিবেদন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস এর উদ্যোগে ‘চা খাতে নিয়োজিত নারী শ্রমিকদের অধিকার ও শোভন কাজের বিদ্যমান পরিস্থিতি’শীর্ষক গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
চা শ্রম-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, চা বাগানে শোভন মজুরী বাস্তবায়ন এবং চা শ্রমিকদের দক্ষতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে অক্সফ্যামের সহায়তায় বিলস সম্প্রতি এই গবেষণা সম্পন্ন করে। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের নারী চা শ্রমিকদের সামগ্রিক অধিকার পরিস্থিতি চিহ্নিত করা, চা বাগানে নারী শ্রমিকদের শোভন কাজ পরিস্থিতি ও আর্থসামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণ, ভ্যালি এবং পঞ্চায়েত কমিটির ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের জ্ঞান ও দক্ষতা মূল্যায়ন এবং নারী চা বাগান শ্রমিকদের অবস্থা সম্পর্কে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের পরামর্শ নেয়।
বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান ভূইঞার সভাপতিত্বে এবং বিলস উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য নইমুল আহসান জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিলস উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কামরুল আহসান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দী। সূচনা বক্তব্য রাখেন বিলস পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন অক্সফাম ইন বাংলাদেশের ফেমিনিস্ট লিডারশিপ এন্ড পার্টনারশিপ স্পেশালিষ্ট শাহজাদী বেগম। গবেষণা রিপোর্ট উপস্থাপন করেন বিলস এর উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, যেখানে ৫০ ভাগের বেশি নারী শ্রমিক সেখানে নারী শ্রমিকদের জন্য কোন যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি নেই। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ভূমি অধিকারের বিষয়টিও পরিষ্কার নয়। সরকার চা বাগানের জমি দিয়েছে চা চাষ করতে কিন্তু দেখা গেছে, সেখানে অন্য ফসলও চাষ করা হয়। এ ছাড়া চা শ্রমিকদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর যথাযথ উদ্যোগও লক্ষ্য করা যায় না।