দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: সিএমপির দুই কর্মকর্তা ক্লোজড

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৩০ পিএম

দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে ‘অসুস্থ হয়ে’ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রামে পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
চান্দগাঁও থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদমর্যাদার এ দুই কর্মকর্তা দুদক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, এএসআই মো. ইউসুফ আলী ও এটিএম সোহেল রানা।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ তাদের দামপাড়া নগর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার আদেশ দেন।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম এ মাসুদ বলেন, পুলিশ হেফাজতে দুদকের সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সিএমপির একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে।
যেহেতু দুজন পুলিশ সদস্য ওই দুদক কর্মকর্তাকে আদালতের পরোয়ানামূলে গ্রেপ্তার করেছিলেন, তাই তদন্তটা যাতে নিরপেক্ষ হয়, সেজন্য তাদের ক্লোজ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশ দুদকের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে (৬৪) নগরীর চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, হুমকিধমকি ও মানহানির অভিযোগে আদালতে দায়ের হওয়া একটি মামলায় পরোয়ানামূলে পুলিশ শহীদুল্লাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
তাকে চান্দগাঁও থানার ওসি কক্ষে বসানোর পর তিনি অসুস্থবোধ করতে থাকেন। হৃদরোগে আক্রান্ত শহীদুল্লারহর মুখে এসময় ইনহেলার স্প্রে করেন তার সঙ্গে যাওয়া ছোট ভাই।
কিন্তু অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে শুরু করলে ছোট ভাইয়ের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ শহীদুল্লাহকে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিন্তু শহীদুল্লাহর পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় তার সঙ্গে নির্দয় আচরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
তবে অভিযোগের ভিত্তিতে শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে বিধিবর্হিভূত কোনো কাজ করা হয়েছে কি না এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তার সঙ্গে নিয়ম বহির্ভূত কোনো আচরণ করা হয়েছে কি-না সেটা নির্ণয়ের জন্য সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের উপ কমিশনারকে প্রধান করে কমিটিতে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) এবং বিশেষ শাখার সহকারী কমিশনারকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।