আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করার বিষয়ে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সফররত সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক স্টেট মিনিস্টার ডায়না জান্স সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সুইডেনও চায় বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, সুইডিশ স্টেট মিনিস্টার এ কথা উল্লেখ করেন।

বৈঠকে উভয় নেতা বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ এবং যুদ্ধ বন্ধের মধ্য দিয়ে বাঁচানো অর্থ মানবজাতির কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ’।

নিজ কার্যালয়ে সফররত সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক স্টেট মিনিস্টার ডায়না জান্সের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।

সুইডেনও চায় বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, সুইডিশ স্টেট মিনিস্টার এ কথা উল্লেখ করেছেন বলে করিম জানিয়েছেন। বৈঠকে উভয় নেতা বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ এবং যুদ্ধ বন্ধের মধ্য দিয়ে বাঁচানো অর্থ মানবজাতির কল্যাণে ব্যয় করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত নয়। যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে মূল্যস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য এবং পণ্য পরিবহন খরচ বেড়েছে।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই। কারণ, কৃষিবিদরা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। তার সরকার সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। সুইডিশ বিনিয়োগের জন্য একটি জমির প্রস্তাবও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুইডিশ স্টেট মিনিস্টার ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায়।

তিনি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন বিশেষকরে নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে উপস্থিত ছিলেন।