বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড, খালাস ২১

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৩০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে ২০১৩ সালে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা এক মামলায় ছয় নেতাকর্মীকে তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং নয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। একই থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় ১২ আসামির মধ্যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারাও খালাস পেয়েছেন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। ২০১৩ সালের নাশকতার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন—ইমরান হোসেন রানা, মারুফ হোসেন, আল আমিন, হাসিবুল ইসলাম, রাশেদ ও আবুল কালাম আজাদ। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিতরা পলাতক আছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
এ মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর সকাল মিরপুর মডেল থানার সলিমুদ্দিন রোডে ৫০/৬০জন বিএনপি জামায়াতের নেতা কর্মী ১৮ দলীয় ডাকা হরতাল সমর্থনে একটি জঙ্গী মিছিল বের করে। এসময় তারা চলমান যানবাহনের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করে এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগের উদ্দেশ্যে রাস্তায় পর পর ০৩ টি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এলাকায় জনমনে গভীর ভীতির সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়। এঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলাটিতে ৯ জন সাক্ষী দিয়েছেন।
এছাড়া মিরপুরের আরেক মামলায় খালাস পাওয়া আসামিদের মধ্যে উল্লেখ্যরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইয়াছিন আলী, সাইফুল ইসলাম নিরব, মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আবুল হাসান রিপন, এ এইচ আজহার, নূর নবী ফরাজী মুক্তার, পল্লবী থানা যুবদলের সহ শিক্ষা সম্পাদক রাজীব হোসেন পিন্টু, মিরপুর থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো রাজ ও বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রিপন।
এ মামলার চার্জশিটে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর সকাল ১১ টা ১৫ মিনিটে মিরপুর মডেল থানাধীন সেকশন-২ এ মায়ের দোয়া গোস্ত বিতানের সামনে রাস্তায় ৫০/৬০জন বিএনপি জামায়াতের নেতা কর্মী ১৮ দলীয় ডাকা হরতাল সমর্থনে একটি জঙ্গী মিছিল বের করে। এসময় তারা চলমান যানবাহনের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করে এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগের উদ্দেশ্যে রাস্তায় পর পর ০৩ টি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এলাকায় জনমনে গভীর ভীতির সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়। এঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলাটিতে ৬ জন সাক্ষী দিয়েছেন।