দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিজেদের দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।

‘শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি’ -এই স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করে দলটি।

এবারের ইশতেহারে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, দুর্নীতি, অর্থপাচার রোধ প্রভৃতি বিষয় উঠে এসেছে। এছাড়া দেশের চলমান বাস্তবতায় কর্মসংস্থান, বিকেন্দ্রীকরণ, বিচারব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা রয়েছে জাপার নির্বাচনী ইশতেহারে।

জাপার ইশতেহারের যা আছে:

১. প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করা হবে। ২. ঢাকা থেকে ৫০ শতাংশ সদর দপ্তর স্থানান্তর করা হবে। ৩. নিবাচন পদ্ধতি সংস্কার করা হবে। ৪. দুদককে সরকারি প্রভাব মুক্ত রাখা হবে। ৫. বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করা হবে। ৬. প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটানো হবে।

ইশতেহারে আরও উল্লেখ আছে, জাতীয় পার্টি কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ করবে না, ইসলামিক কমিশন গঠন করা হবে, বিশ্ব ইজতেমার জন্য স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা করা হবে, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রয়োজনে মৃত্যুদণ্ডের আইন করা হবে এবং সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয় এই নীতি হবে দেশের আন্তর্জাতিক নীতি।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণের চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়। এবার দলটি এককভাবে ২৮৭ আসনে প্রার্থী দিলেও ২৬ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৬ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।