আজ মাওলানা ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১১:২৬ এএম
আজ শুক্রবার ১৭ নভেম্বর মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মওলানা ভাসানী তার দীর্ঘ কর্মময় জীবনে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সমাজ-রাষ্ট্রে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নিরলসভাবে করে গেছেন।
দিবসটি যথাযোগ্যভাবে পালনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি, বিএনপি, ভাসানী স্মৃতি পরিষদ ও ন্যাপ-ভাসানীসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন ভাসানীর সমাধীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও মওলানা ভাসানীর মুরিদান ও ভক্তরাসহ দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণ আফ্রো-এশিয়া-ল্যাটিন আমেরিকার অবিসংবাদিত নেতা মওলানা ভাসানীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।এ ছাড়াও মাজার প্রাঙ্গনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে মওলানা ভাসানী ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃতৎ করে বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মওলানা ভাসানী আজীবন কাজ করেছেন। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন উচ্চকণ্ঠ।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।