পুরান ঢাকায় ২১টি ভবনের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৪:২৭ পিএম

অবৈধভাবে রাসায়নিকের গুদাম গড়ে তোলায় রাজধানীর পুরান ঢাকায় ২১টি ভবনের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ইসলামবাগ ও শহীদ নগরে অভিযান চালায় ডিএনসিসির বিশেষ টাস্কফোর্স।
এসময় ওই সব ভবন মালিককে আগামী রবিবারের মধ্যে রাসায়নিকের গুদাম অপসারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়, অন্যথায় তাদের আটক করা হবে। তার আগ পর্যন্ত ভবনগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে।
জানা যায়, চকবাজার ট্র্যাজেডির প্রেক্ষিতে পুরান ঢাকা থেকে অবৈধ রাসায়নিকের গুদাম উচ্ছেদ করতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। যার অংশ হিসেবে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ খানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার ইসলামবাগ ও শহীদ নগর এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
টাস্কফোর্স জানিয়েছে, অবৈধভাবে রাসায়নিকের গুদাম গড়ে তোলায় পুরান ঢাকার দুটি এলাকার ২১টি ভবনের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ খান বলেন, গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠক থেকে আবাসিক ভবনের কেমিক্যাল গোডাউন আপাতত সরিয়ে রাখতে দুটি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সবাইকে নিজ উদ্যোগে আবাসিক ভবন থেকে কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর করতে মাইকিংও করা হয়েছে।
সে ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকে এই অভিযান শুরু করা হয়। যেসব বাসায় গোডাউন পাওয়া গেছে সেগুলো ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ (গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি) বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কোনো বাসার মালিককে খুঁজে পাইনি। তবে আমরা মালিকদের মেসেজ দিয়ে এসেছি যে, নিজ উদ্যোগে রবিবারের মধ্যে গোডাউন খালি করতে হবে। আমরা রবিবার আবার আসব। তখন যদি গোডাউনে কেমিক্যাল পাই তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, অভিযান চলাকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। অভিযানের সময় তারা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তবে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ও টাস্কফোর্স কর্মকর্তাদের কঠোর অভিযানের মুখে তারা পিছু হঠতে বাধ্য হয়।
অভিযানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও তিতাস গ্যাস, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও চকবাজার থানা পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।