আলোর যাত্রী সেই সাহসী ছাত্রী...

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ০২:৩০ এএম

ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে আলপনা। ছবি: ভোরের কাগজ।
পিশাচ আর ভয়ংকর এক দৈত্যের মুখোমুখি হয়ে শত আঘাত আর ট্রমার মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রামে প্রত্যয়ী সেই ছাত্রী। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রীটি ঢাকা মেডিকেলের বিছানায় শুয়েই নিচ্ছেন পরীক্ষার প্রস্তুতি।
আসছে ১২ জানুয়ারি তার পরীক্ষা। আলোর পথে অসম্ভব সাহসী সেই ছাত্রী তার বাবা, মা, পরিবার, সহপাঠী ও শিক্ষকদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যতকিছুই হোক ১২ জানুয়ারি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
ছাত্রীর ইচ্ছে, শ্রেণিকক্ষে অন্য ক্লাসমেটদের পাশে বসেই তিনি পরীক্ষা দেবেন। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন চিকিৎসকদের কাছে। আর তাছাড়া পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বই আর নোটও চেয়েছেন।
বান্ধবী আর সহপাঠীরা ইতোমধ্যে হাসপাতালে তার কাছে বইপুস্তক আর নোট পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি হাসপাতালে বসেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তার অদম্য আর দৃঢ় মনোভাব শুধু শিক্ষক, সহপাঠীদেরই আনন্দিত করেনি, হতবাক করে দিচ্ছে চিকিৎসক আর গণমাধ্যম কর্মীদেরও।
নতুন জীবন শুরু করার তার অসম্ভব ইচ্ছাশক্তি অনুকরণীয় বলে মনে করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর সহপাঠীরা। এ প্রজন্মের নারীদের আলোকবর্তিকা হিসেবেও মনে করছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর সেখান থেকে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার মধ্যেই ছিল তার অসীম মনোবলের পরিচয়।
এদিকে, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ছাত্রীটির সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের কাছে ওই ছাত্রী ধর্ষকের কিছুটা শারীরিক বিবরণও দিয়েছেন। বলেছেন, আসামিকে দেখলেই তিনি চিনতে পারবেন। আসামির স্কেচ করার কাজেও সহায়তা করতে পারবেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনার শিকার ছাত্রী সাহসী। দ্রুতই তিনি ট্রমা কাটাতে পেরেছেন। তার সাহসের প্রশংসা করতে হয়।