অসতর্কতা-অবৈধ সংযোগেই পুড়ছে বস্তিগুলো

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২০, ১২:৪৮ পিএম

মিরপুর বস্তিতে আগুন। ছবি: ফাইল।
রাজধানীর প্রায় সাড়ে তিন হাজার বস্তিই রয়েছে অরক্ষিত, অপরিচ্ছিন্ন আর অপরাধের আখড়া। এসব বস্তিতে বসবাস করে ৬ লাখের বেশি মানুষ। কিছুদিন পরপরই এসব বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে নিঃস্ব হয় হাজারো মানুষ। হাহাকার দেখা দেয় এসব বস্তিতে। তবে কিছুদিন পরই আবারো সবকিছু ভুলে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
বস্তিগুলোতে অবৈধ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগই বিপদ ডেকে আনে দফায় দফায়। এর ওপর রয়েছে অসতর্কতা আর ক্ষমতাসীনদের থাবা। অনেক সময় আগুন ধরিয়েও দেয়া হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যেসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, সেগুলোর প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বেশিরভাগ অগ্নিকাণ্ডের পেছনেই থাকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট। তবে উচ্ছেদের জন্য যে আগুন লাগানো হয় তারও প্রমাণ পাওয়া যায়।
গেল দুই বছরে রাজধানীর বিভিন্ন বস্তিতে অর্ধশতাধিক বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। গেল বছরের ১৬ আগস্ট রাতে রূপনগরের চলন্তিকা ঝিলপাড় বস্তিতে আগুনে দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরপর ২৭ ডিসেম্বর মিরপুরেই কালশীর দুয়ারিপাড়া বস্তিতে আগুন লাগে। দুটি ক্ষেত্রেই আগুনের সূত্রপাত হয় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধ বৈদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ থেকেই বস্তিতে আগুন লাগে বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসতর্কতার কারণে ঘটে। বস্তিবাসী সতর্ক হলে অনেক অগ্নিকাণ্ড এড়ানো যেত।
বস্তির বাসিন্দারা বলছেন, বস্তিতে অবৈধ সংযোগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিভাগে অসাধু কর্মচারী ও কর্মকর্তারা। তাছাড়া বস্তি এলাকার রাস্তা সরু ও পানির উৎসও সীমিত হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজে বিলম্ব ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়।