ধর্মীয় নিম্মবিত্তদের ত্রাণ দিতে প্রতিমন্ত্রীকে স্বারকলিপি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২০, ০৪:২৮ পিএম

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ
ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে ধর্মীয়-জাতিগত জনগোষ্ঠীর মধ্যেকার পিছিয়ে পড়া জনগণ যেমন নিম্নবিত্ত, হরিজন, জেলে, দলিত, রবিদাস ও আদিবাসী সম্প্রদায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। আজ রবিবার এক বিবৃতিতে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এক বিবৃতিতে এমন্তব্য করেন।
এসময় রানা দাশগুপ্ত জানান, বিষয়টি অবগত করে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিম্ম বির্গীয়দের ত্রাণ দেবার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি বছরের ৮ মার্চ থেকে আমাদের দেশ করোনাভাইরাসে সৃষ্ট এক মহাদুর্যোগে নিপতিত হয়েছে। এহেন দুর্যোগে সর্বস্তরের জনগণ বিত্তবান থেকে বিত্তহীন এক সংকটের সম্মুখীন। তবে, অসচ্ছল ও কর্মহীন নিম্নবিত্তরা এক মহাসংকটের মুখোমুখি। এ বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে সরকার বিগত এক মাসের ঊর্ধ্বকাল ধরে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এক্ষেত্রে, দুঃখের সাথে জানাতে চাই, এহেন ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে ধর্মীয়-জাতিগত জনগোষ্ঠীর মধ্যেকার পিছিয়ে পড়া জনগণ যেমন নিম্নবিত্ত, হরিজন, জেলে, দলিত, রবিদাস ও আদিবাসী সম্প্রদায় বৈষম্যের শিকার হবার অভিযোগ দেশের নানান স্থান থেকে আমাদের কাছে এসেছে। এ বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার বিকেলে ই- মেইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রানা দাশগুপ্ত জানান, সরকার সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণের অভিপ্রায়ে মানবিক খাদ্য সহায়তা ও রেশনিং প্রথা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এহেন সহায়তা ও রেশনিং প্রথার আওতা থেকে অসচ্ছল ও কর্মহীন জনগণ বিশেষ করে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যেকার পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নিম্নবিত্ত, হরিজন, জেলে, দলিত, রবিদাস ও আদিবাসী সম্প্রদায় যাতে কোনভাবেই বাইরে না থাকে তজ্জন্যে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি অত্যাবশ্যক বলে আমরা মনে করি।