এটা সরকারি নিয়মনীতির মধ্যে পড়ে না

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২০, ০৫:২৪ পিএম

ডা. আয়েশা আক্তার
কোন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ না থাকলেও মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে ডা. আয়েশাকে অব্যাহতি দেওয়ায় বিস্মিত হয়েছেন চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলছেন, এটা সরকারি নিয়মনীতির মধ্যে পড়ে না।
ডা. আয়েশা আক্তারকে ২০ আগস্ট একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ওএসডি) এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার-১, এনডিসি (নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ) নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর এক সপ্তাহ পরে ২৭ আগস্ট এর একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নতুন দায়িত্বের কথা জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের বাইরের প্রতিষ্ঠানে বদলি ও নতুন দায়িত্ব প্রদানের বিষয়ে যে দুটি প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে সেখানে অধিদপ্ততরের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষার রয়েছে। ২৭ আগস্ট ওই উপসচিবের স্বাক্ষরিত আরেক প্রজ্ঞাপনে ডা. আয়েশাকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের অফিসার ইনচার্জ হিসেবে বদলি করা হয়। তার স্থলে প্রোগ্রাম ম্যানেজার-১, এনডিসি পদে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (ওএসডি) ডা. আবদুল আলিম।
ডা. আয়েশা আক্তার মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে পদত্যাগকারী স্বাস্থ্য মহাপরিচালক (বিদায়ী) ডা. আবুল কালাম আজাদের নির্দেশনায় অধিদপ্তরের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু বর্তমান মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম দায়িত্ব গ্রহণের পর তাকে কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকতে মৌখিক নির্দেশনা দেন।
মৌখিক নির্দেশের পর থেকে তিনি আর কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালন করেননি। ২০ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রেল রুমের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২৭ আগস্ট তাকে শ্যামলীর টিবি হাসপাতালে বদলি করা হয়।