বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্যতা আনতে হবে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে আরো বৈচিত্র্যতা আনার পাশাপাশি ক্রেতা আকৃষ্ট হওয়ার মতো ডিজাইন উদ্ভাবন করার তাগিদ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত পণ্যের উপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। তা নিশ্চয়ই সবাই জেনেছেন। এবার সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী যতগুলো বক্তব্য রেখেছেন প্রায় সবগুলি বক্তব্যেই পাটের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের উপরও তিনি জোর দিয়েছেন। পাট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বার্তা দিয়েছেন তা আপনারা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। আমি প্রত্যাশা করছি আপনারা এই বার্তাটি অনুধাবন করবেন।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) বহুমুখী পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক (যুগ্মসচিব) গোপাল চন্দ্র দাশসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল কিন্তু আমাদের সেই গর্বের পাট অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। জুট মিলগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জুটমিলের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার কর্মকর্তা, শ্রমিকরা এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে গিয়েছিল। আদমজির মত জুটমিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। তবে, বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, পাটের ব্যবহার বহুমুখী করে তৈরি করা হচ্ছে শাড়ী, জুতা, ব্যাগ, পর্দার কাপড়, বেড কভার ইত্যাদি। আমাদের বিজ্ঞানীরা পাটের জীবন রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ তৈরি করতে পেরেছে। পাট থেকে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন কতদ্রুত করা যায় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমেই পাটশিল্পকে আমরা লাভজনক করতে পারবো। এসময় তিনি পাটশিল্পের বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে আরো উৎসাহিত করার কথাও বলেন।
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছে ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত আম্বিয়ান্তে ফেয়ারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমি মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্টল পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছি। আমি খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছি আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্য সামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছে। এ মেলায় আমার অংশ নেয়ার ফলে আমি আত্মবিশ্বাসী হয়েছি, এ মেলার অভিজ্ঞতা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।