পেট্রোল-অকটেন ও ডিজেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে পেট্রোল-অকটেন ও ডিজেলের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের বর্তমান দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অকটেনের দাম লিটারে ১২৬ এবং পেট্রোলের দাম ১২২ টাকা অপরিবর্তিত আছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে জ্বালানি তেলের নতুন এই দামের তথ্য জানানো হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন দাম ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের কথা জানায়। এর ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, মার্চের জন্য ঘোষিত দামে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা করে কমানো হয়েছিল। এছাড়া অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছিল ১২৬ টাকা। আর পেট্রলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমে হয়েছিল ১২২ টাকা।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।
অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে সব সময়ই মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।