তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পরিবেশ সাংবাদিকতায় সমস্যায় পড়লে সরকার পূর্ণ সহযোগিতা করবে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, পরিবেশ সাংবাদিকতার চর্চা করতে গিয়ে সাংবাদিকরা দেশের কোথাও কোনো সমস্যায় পড়েন তাহলে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে পূর্ণ সহযোগিতা ও সুরক্ষার ব্যবস্থা নেব। পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতিতে এখন পরিবেশ সাংবাদিকতার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষেই আমাদের অবস্থান।
শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব প্রমুখ।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে সরকারের অবস্থান রয়েছে। এই মুহূর্তে পরিবেশ সাংবাদিকতার বেশি প্রয়োজন। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের জন্য বাংলাদেশে সবচেয়ে কম দায়ী। তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বড় বড় মোড়ল রাষ্ট্র পরিবেশের অনেক ক্ষতি করছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের এনার্জি উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রয়োজন। আমরা উন্নয়ন ও টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বাসী।
আরো পড়ুন: রাজধানীতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সড়ক অবরোধে দীর্ঘ যানজট
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো গণমাধ্যমে সৎ সাহসী সাংবাদিকতা ও সুরক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। পাকিস্তানি সুরক্ষার জন্য আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার জন্য কোনো রাজনীতি আমরা দেখি না। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সবাইকেই সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য প্রবাহের জন্য তথ্য অধিকার কমিশন কাজ করছে। সাম্প্রতিক কিছু নেতিবাচক ঘটনার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তথ্য চাইলে সরকারি কর্মকর্তারা তথ্য দিতে অনীহা দেখানোর একটা প্রবণতা আছে। এভাবেই তাদের মানসিকতা গড়ে উঠেছে। এই মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তথ্য যত জনগণকে দিতে পারব ততই গুজব ও মিথ্যা তথ্য প্রচার বন্ধ হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, বিশ্বাস নানাবিধ ক্রাইসিসের মুখোমুখি। সবচেয়ে বড় ক্রাইসিস জলবায়ু সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের ক্রীড়া ধ্বংস ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে পরিবেশ সাংবাদিকতাও চ্যালেঞ্জের মুখে। জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব গুলো তুলে ধরে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্যালেস্টাইন ইসরায়েল যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১০২ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ৩৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এর মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রাক ক্লাইমেট চেইঞ্জ বিভাগের পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সেমিনার উপকমিটির আহবায়ক জুলহাস আলম।