পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এমপি আনারের মৃত্যুর ঘটনায় দুই দেশের গোয়েন্দারা সমন্বিতভাবে কাজ করছে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম

এমপি আনারের মৃত্যুর ঘটনায় দুই দেশের গোয়েন্দারা সমন্বিতভাবে কাজ করছে। ছবি: সংগৃহীত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এমপি আনারুল আজিম আনারের মৃত্যুর ঘটনায় দুই দেশেই তদন্ত শুরু হয়েছে। উভয় দেশের গোয়েন্দারা সমন্বিতভাবে তদন্ত কাজ করছে। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে বিধায় এখনো কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে শীঘ্রই আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে নোঙর রাষ্ট্রের উদ্যোগে আয়োজিত ঢাকা নদী সম্মেলনের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৩টি প্রধান বেসিন হচ্ছে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা। এগুলো আমাদের অন্যান্য নদনদীর উৎসস্থল। এসব নদীর পানি সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য একটি আঞ্চলিক ফোরাম গঠন করা হলে এই অঞ্চলের সবাই উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, নদী খেকো ভালো থেকো নদী দূষণকারীদের বিরুদ্ধে সবাই মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানব দেহে যেমন শিরা-উপশিরা কাজ করে তেমনি নদী হচ্ছে একটি দেশের শিরা উপশিরা। নদী শুকিয়ে গেলে, দূষিত হলে বা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে এর প্রভাব সারা দেশের উপর পড়ে। এক সময় এদেশে ১২০০ নদী ছিল। এখন আমরা বলি ৭০০ নদী আছে। বিভিন্ন কারণে নদী কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তন। এছাড়া উজানের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়া, নদীর দূষণ হয়ে যাওয়া, দখল হয়ে যাওয়ার কারণেও নদীর সংখ্যা কমে গেছে। আমাদের একটি নদী কমিশন আছে, এই নদী কমিশনের কার্যক্রম আরো জোরালো করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার নদীর নব্যতা রক্ষা করে নৌ পরিবহন বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নৌযান মালিকদের প্রতি মুনাফার লোভ, ফিটনেস বিহীন নৌযান চলাচল কারণেই নৌ-দুর্ঘটনা ঘটে।
নোঙ্গর ট্রাস্টের সভাপতি সুমন শামসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটির আহবায়ক ড. মো. আওলাদ হোসেন, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, সাংবাদিক ও নদী গবেষক শেখ রোকনসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নোঙ্গরের কর্মীরা।