স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
উন্নয়নের সুফল পেতে জনপ্রতিনিধিসহ আমলাদের একাত্মতা জরুরী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ০৫:২১ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, উন্নয়নের সুফল পেতে জনপ্রতিনিধি এবং আমলাদের একাত্মতা জরুরী। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং সমন্বয় না থাকলে কর্মক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়। যা কখনো দেশের উন্নয়নের জন্য সুফল বয়ে আনবেনা।
শনিবার (১ জুন) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউটে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায়ে প্রকল্পের জেলা রিসোর্স টীমের (ডি.আর.টি) প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমাদের দারিদ্র্যের হার একসময় ২৫% ছিলো। এখন সেটা ১৮%, অতি দারিদ্র্যতার হার এখন ৫% এ নেমে এসেছে। এই অর্জন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কাজ করতে গেলে পারস্পরিক সহযোগিতা সহযোগিতা থাকলে, কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকলে অগ্রগতি থামিয়ে রাখা যায় না।
স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করার জোর দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আজকে যে দক্ষিণ কোরিয়াকে আমরা দেখি, এটি পূর্বে এমন ছিলনা। অতীতে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিলো। তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ছিলনা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো ভঙ্গুর। শুধু তাই নয় মানবিক প্রয়োজনীয়তার সকল উপাদান ছিলো অনুপস্থিত। কিন্তু পার্ক চুং হি যখন ক্ষমতায় আসেন, তিনি জনগণের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। সাহসিকতার সাথে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে দেশের সকল মানুষকে একটি বিনিসুতোয় বাঁধেন। স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করেন। আজকে দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। আমাদেরও তাদের থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমাদের গ্রামের কৃষক বা জনপ্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা নাও থাকতে পারে, কিন্তু তাদের উপেক্ষা করা যাবেনা। একক প্রচেষ্টায় কখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরী।
জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এনপিডি) মো. শের আলী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দয়ারাত্নেসহ আরো অনেকে।