অ্যালিস্টর ডাটন
রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন কার্যক্রম অনেটাই কমে গেছে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
রোহিঙ্গাদের অর্থায়নে সাড়াদান কার্যক্রম অনেটাই কমে গেছে। মাসে রোহিঙ্গা প্রতি খাদ্য সহায়তার হার কমে ১০ ডলারে নেমে এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগের মতো প্রয়োজনীয় তহবিল নিয়ে আমাদের তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন। গত ২০১৭-২৩ পর্যন্ত কারিতাস কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা সদস্যদের জন্য জরুরী সহায়তা হিসাবে ৪৫ মিলিয়ন ডলারের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ সময়ে প্রায় ১ লাখের মতো ব্যক্তিকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। চলতি বছরে রোহিঙ্গা ও হোষ্ট কমিউনিটির জন্যেও ৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজের সেক্রেটারী জেনারেল অ্যালিস্টর ডাটন।
আরো পড়ুন: ঢাকা বিভাগের আরো ৫৮৩ ভূমিহীন পাবেন সরকারি গৃহ
তিনি বলেন, গত ৭ বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যেভাবে সমর্থন দিয়েছে, তাতে আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত। বিশ্বের নজর যখন অন্য দিকে ধাবিত হয়েছে, তখনও রোহিঙ্গারা এসব ভুলে যাওয়া শিবিরে টিকে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার একাই তাদেরকে সহযোগিতা করবে এটা আশা করা উচিত নয়। অন্যান্য দেশগুলোকেও আগের মতো প্রয়োজনীয় তহবিল নিয়ে তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন।
অ্যালিস্টার ডাটন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ছয় বছরে ২ লাখেরও বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে। এই শিশুরা কখনই তাদের নিজ দেশ দেখেনি ও তাদের কোনো জাতীয়তা নেই। তারা রাষ্ট্রহীন। এ বিষয়ে নতুন করে আর্ন্তজাতিক মাধ্যমগুলোকে নজর দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনসহ অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য মিয়ানমারের উপর চাপের পাশাপাশি এই অঞ্চল এবং এর বাইরের দেশগুলোকে সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।