ড্রোন দিয়ে মশা মারতে ৫২ কোটি বরাদ্দ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০৫:২২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের কারণে ড্রোনের মাধ্যমে মশার প্রজনন কেন্দ্র চিহ্নিত করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এমপি খসরু চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে রাজধানীসহ সারাদেশে কার্যক্রম চলছে। সিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ডে প্রতিদিন লার্ভিসাইডিং এবং এডাল্টিসাইডিং করা হয়। এছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর বাড়ি পরিদর্শন ও এর চারপাশে লার্ভিসাইডিং এবং এডাল্টিসাইডিং করা হয়ে থাকে। ড্রোনের মাধ্যমে মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
আরো পড়ুন : ‘এমপি আনার চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত তা কখনই বলিনি’
তিনি জানান, ডেঙ্গুর হটস্পটগুলোতে বিশেষভাবে নজরদারি করা হয়। মশক নিধন কর্মীদের নিয়মিত উপস্থিত নিশ্চিত করার জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, স্কাউট, জনপ্রতিনিধি ও ইমামদেরকে সম্পৃক্ত করে বিশেষ মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এমপি শফিউল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের এডিপির ডেঙ্গু মোকাবেলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের জন্য এ অর্থবছরের ৩২ কোটি এবং পৌরসভায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা খাতের আওতায় ইউনিয়নের অনগ্রসরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার জন্য ১০০ কোটি টাকা সংস্থান রাখা হয়েছে।