সন্তানসহ স্ত্রী হত্যায় যুবকের যাবজ্জীবন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০৮:০২ পিএম

ছবি: প্রতীকী
২০০৯ সালে ১৬ নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়ায় ৭ মাসের শিশু কন্যাসহ স্ত্রীকে হত্যা মামলায় মো. কাওসার ওরফে ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুর নাম ফারহিন ও তার মায়ের নাম শিল্পী আক্তার।
মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাসরুর সালেকীন এই রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর দণ্ডিত আসামি কাওসার কারাগারে থাকায় তাকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কাওসার তার স্ত্রী ও সন্তানসহ ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া কাঁঠালতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। কাওসার পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। স্ত্রী শিল্পী আক্তার এর প্রতিবাদ করেন। ২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর রাতে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। শিল্পী রাতে শিশু কন্যাসহ ঘুমিয়ে পড়লে কাওসার রাত সাড়ে তিনটায় শিল্পীকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
পরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ভিন্নরূপ দেয়ার জন্য শিল্পীর লাশে আগুন দেয় কাওসার। এ সময় মায়ের পাশে ঘুমন্ত শিশু ফারহিন আগুনে পুড়ে মারা যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী কাওসারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এরপর নিহত শিল্পীর ভাই সুমন বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আসামি কাওসার ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানা এলাকার বিদ্যাধরপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম ওরফে আবুল হোসেনের ছেলে।