মা-ভাইকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন ইফাত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪, ০১:১৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ছাগলকাণ্ডে একে একে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য। এবার শোনা যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমানের দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী, ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ও ছোট ছেলে ইরফান দেশত্যাগ করেছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান চাকরি জীবনের শুরু থেকেই নামে-বেনামে সম্পদ গড়তে বেপরোয়া ছিলেন। কর ফাঁকির সুবিধা দিয়ে দেশের নামি-দামি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের সঙ্গে ব্যবসায়িক কানেকশন গড়ে তোলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ট্রেড ক্যাডারের কর্মকর্তা হয়েও সুকৌশলে কাস্টমস ক্যাডারে প্রবেশ, এলসি জালিয়াতি, বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য খোলা বাজারে বিক্রিসহ নানা অপকীর্তির বিস্তর অভিযোগ আছে। সব সরকারের আমলেই অবৈধ অর্থের প্রভাবে পেয়েছেন রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়। বাগিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে পোস্টিং।
রাজস্ব আয় বাড়ানোর গুরু দায়িত্বে থেকে সরকারকে রাজস্ববঞ্চিত করে গুছিয়েছেন নিজের আখের। কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের প্রায় সবই গড়েছেন স্ত্রী-সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে। সব মিলে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। কিনেছেন দামি গাড়ি, বাড়ি। এ কর্মকর্তা হাতে পরেন ৩১ লাখ টাকার বেশি দামের রোলেক্স ঘড়ি। তবে নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখতেই নানা ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন: আলোচিত মতিউর সোনালী ব্যাংকেরও পরিচালক
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, চাকরি জীবনের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে অতিসম্প্রতি ছাগলকাণ্ডে ফেঁসে গেছেন প্রভাবশালী এই সরকারি কর্মকর্তা। কুরবানির জন্য ১২ লাখ টাকায় ছেলের কেনা ছাগল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বাবার পরিচয়ে টান পড়ে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হলে প্রথমপক্ষের স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকীর সঙ্গে আলোচনা করে পারিবারিক ড্রামা সাজান মতিউর। মিডিয়ার সামনে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান মুশফিকুর রহমান ইফাতের সঙ্গে তার সম্পর্ক অস্বীকার করেন। এতে বাঁধে জট। বাবার অস্বীকৃতি পারিবারিক টানাপড়েন চরমে ওঠে। সন্তান ইফাত রাগ-অভিমানে চেষ্টা চালান আত্মহননের।
এক পর্যায়ে পরিবারের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী, ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ও ইরফান দেশত্যাগ করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। বুধবার চট্টগ্রাম হয়ে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন তারা। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে এনবিআর সদস্য মো. মতিউর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। একই নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপে বক্তব্য চেয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি জবাব দেননি।