৩৫৩৮ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি: এস আলমের আবেদন নাকচ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
তিন হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ নিয়ে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের আপত্তি আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গৃহীত সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) এস আলম গ্রুপের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি সর্দার রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুল শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এনবিআরের করা জরিমানাসহ তাদের কাছে সরকারের পাওনা ৭ হাজার কোটির বেশি। এনবিআরের ভ্যাট শাখার একটি অডিট প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্যাট রিটার্নে কম ক্রয়-বিক্রয় দেখানোসহ বিভিন্ন উপায়ে ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কোম্পানি দুটি দুটি তিন হাজার ৫৩৮ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। যার জন্য তাদের আরো তিন হাজার ৫৩১ কোটি টাকা জরিমানা করে এনবিআর। কিন্তু এস আলমের দাবি তারা ভ্যাট ফাঁকি দেয়নি।
শুনানি শেষে এস আলমের আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে আপত্তির আবেদন না শুনে এনবিআরের সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে কেন পুনঃশুনানির জন্য পাঠানো হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
এস আলমের আইনজীবী আহসানুল বলেন, চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার কার্যালয় থেকে এস আলম গ্রুপের ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ দিয়ে অনাদায়ে ভ্যাট দাবি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানি দুটি সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাট অফিসে গিয়ে জবাব দাখিলের জন্য সময় প্রার্থনা করে। এরপর গত ১৮ মার্চ আংশিক জবাবও দাখিল করা হয়। যেখানে বলা হয়, যাবতীয় ডকুমেন্টসসহ সবকিছু দাখিল করা হবে।
কিন্তু ভ্যাট কর্তৃপক্ষ গত ১৭ এপ্রিল আপত্তির শুনানির দিন ৫ জুন ঠিক করে দিয়েছিল জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘ওই দিন সিনিয়র আইনজীবী ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত হতে পারেনি উল্লেখ করে সময় চাওয়া হয়। কিন্তু ভ্যাট কমিশন সেই আবেদন খারিজও করল না, গ্রহণও করল না।’
কর ফাঁকির নোটিস দেয়া হলে করদাতাকে ব্যক্তিগতভাবে শুনানির সুযোগ দিতে হবে- এই বিধান তুলে ধরে আহসানুল বলেন, ‘কমিশন এই বিধানটিকে উপেক্ষা করে সময়ও দিলেন না, খারিজও করলেন না। তিনি মনমতো একটা আদেশ দিয়ে দিলেন। এটি চ্যালেঞ্জ করেই আমরা হাইকোর্টে আসি।’