মধ্যরাতের এসএমএসে বাড়ছে ডিমের দাম!

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
- ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অনুসন্ধান
ডিম নিয়ে যেন জুয়া খেলছেন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ীরা। এক বাজারেই হাতবদল হচ্ছে তিনবার। এতে দাম বাড়ে তিন দফায়। গত কয়েকদিনে ডিমের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ডিমের দাম বেড়ে রেকর্ড গড়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে গায়েবি এসএমএস পাঠানো এক চক্রের অপকর্ম।
যারা প্রতি মধ্যরাতে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয় কত হবে ডিমের দাম। প্রতি মধ্যরাতে এসএমএস আসার মাধ্যমে ঠিক করা হয় ডিমের দাম। সেই এসএমএসের দামে ডিমের দর করেছে রেকর্ড। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, এখনও এসএমএসের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ডিমের বাজার। এ চক্রকে থামানো না গলে ডিমের দাম আরো বাড়বে বলে অভিযোগ খামারিদের।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ডিমের বাজার নিয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় আয়োজন করে ভোক্তা অধিকার। মতবিনিময় সভায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কম, তাই তাদের সিন্ডিকেট করার সুযোগ নেই। তবে খামারিদের দাবি, এসএমএসের মাধ্যমে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। ভোক্তা অধিদপ্তরের দাবি, যারা এসএমএসের মাধ্যমে ডিমের বাজার অস্থির করছে তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, যারা এসএমএসের মাধ্যমে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা এখানে বসে যা করছে তা ফৌজদারি অপরাধ। আমি একটা ম্যাসেজ দিচ্ছি, এ জিনিসটা ভেঙে দেব, প্রয়োজনে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেব। তাদের কথায় বা এসএমএসের মাধ্যমে যে ব্যবসা চলছে তা চলবে না। পাইকারি ও খুচরায় মূল্যতালিকা টানানো বাধ্যতামূলক হলেও মানে না কেউ। এটি মানা ছাড়াও ব্যবসায়ীরা পাকা ভাউচার না রাখলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি ভোক্তা অধিদপ্তরের।