কোটা আন্দোলন
কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০২:১০ পিএম

কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা। ছবি : ভোরের কাগজ
সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীরা গত তিনদিন যাবত সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। বুধবার (৩ জুলাই) বেলা ১১টায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পটুয়াখালী- ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা এ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে কোটা বাতিল চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায়।
আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিল চান তারা। অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আজিম জানান, কোটা সংস্কৃতি বাংলাদেশের জন্য লজ্জার। ৫৬ শতাংশ কোটা যদি বাতিল না হয় তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে পিছিয়ে পড়বে। বাংলাদেশ একটি মেধাহীন জাতিতে পরিণত হবে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ জানান, কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। একটি স্বাধীন দেশে এরকম বৈষম্য থাকতে পারে না।
সড়ক অবরোধের সময় আটকে পড়া মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামের এক যাত্রী জানান, যতদূর শুনেছি ওরা কোটা প্রথা বাতিল চেয়ে আন্দোলন করছে। রাস্তা অবরোধ করে রাখায় আমাদের ভোগান্তি হলেও আমরাও চাই বাংলাদেশে এরকম বৈষম্য যাতে না থাকে। সরকার যেন এ দাবি মেনে নেয়।
আরো পড়ুন : বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই শাহবাগ অবরোধ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ভোরের কাগজকে জানান, 'শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে অবরোধ প্রত্যাহারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেবে শিক্ষার্থীরা।
তবে রাস্তা অবরোধকালে শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন ছেড়ে দিতে দেখা যায়। পরবর্তীতে দুপুর প্রায় আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী কর্মসূচি দিয়ে রাস্তা থেকে সরে যায়। বর্তমানে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে।
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আপিল বিভাগে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।