২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ৩৯১ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। তবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকসহ মোট ৬টি ব্যাংকে আসেনে কোনো প্রবাসী আয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়, একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, একটি বেসরকারি ব্যাংক এবং ৩ টি বিদেশি ব্যাংকে গত অর্থবছরে কোনো রেমিট্যোন্স আসেনি। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক। এছাড়া কোনো প্রবাসী আয় পৌঁছেনি বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং হাবিব ব্যাংকেও।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৮ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭১ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে পৌঁছেছে ২ হাজার ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। দেশটি থেকে পৌঁছেছে ৪৫৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। তাছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরো রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, কাতার, ওমান ও বাহরাইন।

আরো পড়ুন: ১ বছরে যেসব দেশ থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো

আরো পড়ুন: পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা!

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৬ কোটি ১৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। আর যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, কাতার, ওমান ও বাহরাইন থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৯ কোটি ৩২ লাখ, ২৭৪ কোটি ১৫ লাখ, ১৬০ কোটি ৭৭ লাখ, ১৪৯ কোটি ৬৭ লাখ, ১৪৬ কোটি ১৬ লাখ, ১১৫ কোটি, ১১২ কোটি ৩৫ লাখ ও ৬৩ কোটি ৯২ লাখ ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ঢাকায় প্রায় ১ হাজার ১৬৬ কোটি ৯ লাখ ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছে চট্টগ্রামে, ৬৭৮ কেটি ৩৬ লাখ ডলার। সিলেট বিভাগে ২৫৪ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৯২ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৭৩ কোটি ১৬ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৫৬ কোটি ১ লাখ ডলার, ময়মনসিংহে ৪০ কোটি ৭৮ লাখ ডলার এবং রংপুরে ৩০ কোটি ৯ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরের জুনে দেশে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এর আগে গত মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারিতে পৌঁছেছিল যথাক্রমে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার, ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার, ২১৬ কোটি ৬০ লাখ এবং ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।