শেখ হাসিনা-শি জিনপিং বৈঠকে তীক্ষ্ণ নজর ভারতের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:১০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন । সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি । সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা । এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। সরকারপ্রধান হিসেবে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো চীন সফর করছেন শেখ হাসিনা।
কিন্তু তার এই সফরের দিকে প্রতিবেশী ভারত সতর্কসহ তীক্ষ্ণ নজর রাখছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। দেশটির গনমাধ্যেমগুলোর মতে ভারত বুঝতে পারছে, চীন থেকে বাংলাদেশে আরও অর্থ প্রবাহিত হলে বেইজিংয়ের ওপর ঢাকার নির্ভরতা কেবলই বাড়বে।
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনা-শি জিনপিং বৈঠকে তীক্ষ্ণ নজর ভারতের
সোমবার (৮ জুলাই) কলকাতার দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত সফরের দু’সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে এবার চীন যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার এই সফর এমন একটি সময়ে হচ্ছে, যখন ঢাকা চীনের দিকে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে ঝুঁকে পড়ার’ লক্ষণ দেখাচ্ছে।
দ্য টেলিগ্রাফের দাবি, শেখ হাসিনার সফরকালে চীন-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একটি ‘ব্যাপক কৌশলগত-সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত হতে পারে, যেটিকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তৃতীয়-সর্বোচ্চ স্তরের সম্পর্ক হিসেবে বিবেচনা করে চীন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) হতে পারে। পাশাপাশি, একাধিক খাতে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই এবং দুই হাজার কোটি ডলারের ঋণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
ভারতের একজন সাবেক কূটনীতিক দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, নয়াদিল্লিকে ‘নিবিড়ভাবে’ এই সফরের ফলাফল দেখতে হবে।
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে দিল্লির উদ্বেগের কারণ
ভারতীয় টেলিগ্রাফ বলেছে, শেখ হাসিনার চীন সফরের আগে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চীনের এক্সিম ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল প্রস্তাবিত দুই হাজার কোটি ডলারের ঋণ নিয়ে আলোচনার জন্য গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করে, যার মধ্যে চীন থেকে আমদানির অর্থ পরিশোধের সুবিধার্থে ৫০০ কোটি ডলার ইউয়ানে দেয়ার কথা রয়েছে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগীয় প্রধান লিউ জিয়ানচাও-ও সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন। ফলে শেখ হাসিনার এই সফরের পর ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে পরিবর্তন ঘটবে, যার প্রতিফলন দেখা যাবে যৌথ বিবৃতিতে।
এদিকে, বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রবিবার (৭ জুলাই) বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু এবং চীন উন্নয়নের।
দ্য টেলিগ্রাফের ভাষ্যমতে, ওবায়দুল কাদেরের এই কথায় দিল্লির উদ্বেগ কমার সম্ভাবনা কম। কারণ ভারত বুঝতে পারছে, চীন থেকে বাংলাদেশে আরো অর্থ প্রবাহিত হলে বেইজিংয়ের ওপর ঢাকার নির্ভরতা কেবলই বাড়বে।