প্রশ্নফাঁস
আবেদ আলীসহ ৭ জনের দায় স্বীকার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম

আবেদ আলীসহ ৭ জনের দায় স্বীকার। ছবি: সংগৃহীত
প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মোট ৭ জন। এরা হলেন সাবেক পিএসসি চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেপ্তার ৭ জন তাদের জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দি শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
প্রশ্নফাস কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া মোট ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। এসময় অন্য ৬ জন আসামির সঙ্গে অভিযুক্ত আবেদ আলীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন মেজিট্রেট আদালতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল কুমার চাকমার আবেদনের প্রেক্ষিতে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগির কবিরসহ অভিযুক্ত ১১ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান এবং ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল।
রোববার (৭ জুলাই) রাতে প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এর পরপরই অভিযুক্ত সৈয়দ আবেদ আলির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া পোস্টগুলো ভাইরাল হতে শুরু করে। পরে সোমবার (৮ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে একটি মামলা দায়ের করে, মামলা নং ১৫। মামলায় ১৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং লিটন সরকার।
আরো পড়ুন: আবারো সারাদেশে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা
এর আগে প্রশ্নফাঁসকারি চক্রটিকে ধরতে অনুসন্ধানী সাংবাদিক দল ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষাকে বেছে নেয়। ছদ্মবেশ ধারণ করে নিজেদের পরীক্ষার্থীকে তুলে দেন অনুসন্ধানী দলটি। সেখান থেকেই পুরো প্রক্রিয়াটি ফাঁস হয়, ফলে সারা দেশে তৈরি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য।