মামলা তুলে নিতে কোটা আন্দোলনকারীদের আল্টিমেটাম

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১০:৫২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পুলিশ প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে ‘মিথ্যা’ মামলা দেয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ সরূপ এ আলটিমেটাম দেয়া হয়। শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, চলমান কোটা আন্দোলনে এখন পর্যন্ত কোথাও কোন হামলা-ভাঙচুর করেননি শিক্ষার্থীরা । এছাড়া রাজধানীর শাহবাগে গত ১১ জুলাই পুলিশের সাঁজোয়া যানে কোনো হামলা হয়নি বলে রমনা থানার পুলিশ কর্মকর্তা সেটা নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে কেন আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হলো? মামলা যদি দিতেই হয় তাহলে আমাদের নাম উল্লেখ করেই দেয়া হোক। কারণ এখানে স্পষ্ট যে কারা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিচ্ছি আমরা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর সেদিন যারা হামলা করেছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের শনাক্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি যদি না মানা হয়, আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলন শেষ হওয়ায় তারা ক্লাসে ফিরে গেলেও আমাদের এ ধর্মঘট চলবে। কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো না আমরা । আমরা চাই শিক্ষকরা আমাদের চলমান যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমাদের সহযোগিতা করুক।
এর আগে ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সকল গ্রেডে সব ধরনের অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ছাত্রদের আন্দোলনের তোপে পরে বাধ্য হয়ে সরকারি চাকরিতে পূর্বের সব কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে সরকার। কিন্তু ২০২১ সালে এসে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করলে চলতি বছরের ৫ জুন এক রায়ের মাধ্যমে আবারো ফিরে আসে ২০১৮ সালে বাতিল করা সেই কোটা পদ্ধতি। এরপর কোটা বাতিলে ফের একাট্টা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আবারো সেই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে তরান্বিত করতে গত ১ জুলাই রাজপথে নামেন তারা। ইতোমধ্যে বাংলাব্লকেড কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ আন্দোলন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।