রীতি ভেঙে ওয়েবসাইটেই মুদ্রানীতি প্রকাশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সাধারণত মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে। যেখানে নানান বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। তুলে ধরা হয় সফলতা এবং ব্যর্থতার বিষয়গুলোর বিশ্লেষণ। তবে দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে এবার ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। এদিন বিকেলে ৩টার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে তা আপলোড করা হয়। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিকেল ৩ টা ২৭ মিনিটে তা জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট জুলাই -ডিসেম্বর ২০২৪ বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে আপলোড করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: জবির প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের অবস্থান, নেই আন্দোলনকারীরা
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মুদ্রানীতিতে দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংকঋণের সুদের হারের যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রয়েছে, তা কিছুটা শ্লথ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নীতি সুদহার আর না বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে আমদানি ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি বা বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এখন থেকে গাড়ি, ফলমূল, ফুল ও প্রসাধনী আমদানির ক্ষেত্রে শুধু ঋণপত্রের বিপরীতে নগদ অর্থ জমা দিয়ে এসব পণ্য আমদানি করতে হবে। এর বাইরে অন্য পণ্য আমদানিতে অগ্রিম অর্থ জমার বিষয়টি শিথিল করা হবে।
নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি আগের মতো রাখা হয়েছে। গত জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির এ হারই বহাল রাখা হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৮ শতাংশ।
নতুন মুদ্রানীতিতে সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়িয়ে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যাংক খাত থেকে সরকারকে আরও বেশি ঋণ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন টাকা ছাপিয়ে (রিজার্ভ মানি) মুদ্রার সরবরাহ বাড়াবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। জুনে রিজার্ভ মানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে এ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ২ শতাংশ নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।