সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০২:৪০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনার রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছিল। পণ্যবাহী কোনো গাড়ি ঢাকায় ঢুকতে পারছিল না। ফলে সরবরাহ সংকটে স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। সবজি, মাছ-মুরগিসহ নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে হয়ে যায় আকাশছোঁয়া। চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ।
বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন (লম্বা) মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সারাদেশে কারফিউ জারির আগে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কারফিউ জারির আগে প্রতি কেজি ধুন্দুল ৪০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৩০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কারফিউয়ের আগে প্রতিকেজি ঝিঙা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা বেড়ে আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। ৫০ টাকা কেজির শসা ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি দরের চিচিঙ্গা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
আরো পড়ুন : কারফিউ শিথিলের পর যানজট, গণপরিবহন সংকটে দুর্ভোগ
এছাড়া বাজারে কারফিউয়ের আগে ৪০ টাকা কেজির ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ৬০ টাকার মুলা ৮০ টাকা, ৬০ টাকার বরবটি ১০০ টাকা, ১৬০ টাকার গাজর ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আজ কিছুটা দাম কমেছে কাঁচামরিচের। কারফিউয়ের আগে বাজারে প্রতি ২৫০ গ্রাম মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। লাউশাক প্রতি আঁটি ৫০ টাকা, ডাটা শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, লালশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কারফিউয়ের আগে এসব শাকের দাম আঁটিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কম ছিল।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। ডিমের ডজন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। মাছের বাজারে রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া, পাঙাশ ও চাষের কই মাছের প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। পাবদার কেজি ৪৫০ থেকে ৬০০, শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং কাতলা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।
এছাড়া বাজারে চাল, ডাল ও তেলের দাম আগের মতোই আছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মুদি দোকান ঘুরে দেখা যায়, চাল সরু (নাজির-মিনিকেট) প্রতি কেজি ৭০-৭৮ টাকা, চাল (মাঝারি) পাইজাম-লতার কেজি ৫৫-৬২ টাকা, মোটা চাল স্বর্ণা, চায়না প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৫০-১৫৫ টাকা, বোতলজাত প্রতি লিটার ১৬৫-১৬৭ টাকা। মসুর ডালের কেজি ১১০-১৫০ টাকা।