সংকট উত্তরণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম

প্রেসক্লাবে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : ভোরের কাগজ
দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকটই নয়, বাংলাদেশ এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। জাতায়াত-শিবিরসহ স্বাধীনতাবিরোধী ও আন্তর্জাতিক চক্রের ষড়যন্ত্র এই সংকটে ফেলেছে। দেশের বিরাজমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আত্ম-বিশ্লেষণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক নেতৃত্বেই সম্ভব। আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিস্ফোরণ ঘটাতে হবে। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। বুধবার (৩১ জুলাই) সম্মিলিত নাগরিক সমাজের এক আলোচনা সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিরাজমান সংকট : উত্তরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সভাপতি অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রশিদ- ই মাহবুব, ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিকসের পরিচালক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, জাতয়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আইনুল ইসলাম, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংঠনের সাধারণ সম্পাদক ম হামিদ এবং সঞ্চালনা করেন সহসভাপতি একেএমএ হামিদ।
কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের নামে যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধংস করেছে তারা সন্ত্রাসী, দেশবিরোধী। তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। কারণ ছাত্ররা দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ এভাবে নষ্ট করতে পারে না। দেশের মানুষের সমর্থণ পাওয়া ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি ছিনতাই হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন : আগামী ৫ বছরে ঢাকা হবে বেকারমুক্ত নগরী
তিনি বলেন, সংবিধানের ৪ টি স্তম্ভ ভীষণ আক্রান্ত। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি সরকারের ব্যবস্থাপনা, দর্শনগত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সহযাত্রী, সঠিক তথ্য প্রবাহ ও আস্থার সংকট রয়েছে উল্লেখ করে খলীকুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্দের চেতনার অনেকে সহযাত্রী হতে চায় না। সরকারের সুসময়ে যারা ছিলো তাদের এখন পাত্তা নেই। স্বার্থান্বেসীদের সংকটের সময় পাওয়া যায় না। ভুল-ত্রুটির আত্ম-বিশ্লেষণ করা দরকার। সংকট নিরসনে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের এক করতে হবে। আর এই কাজটা করতে হবে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক নেতৃত্বে। সবাইকে এক করতে পারলেই দেশ এগিয়ে যাবে। সঙ্গে থাকবে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ।
শ্যামল দত্ত বলেন, এখন বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকট চলছে; নীতিগত-আদর্শগত। স্বাধীনতা বিরোধীরা এই সংকট তৈরি করেছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রং বদলাতে চাচ্ছে। তারা নিজেদের প্রকাশ্যে রাজাকার বলে স্লোগান দেয়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংকট পুষিয়ে নেয়া যাবে কিন্তু বাংলাদেশের অস্তিত্বই যদি না থাকে তাহলে কিসের ক্ষতির চিন্তা করেন? সংকট অনেক গভীরে। আন্তর্জাতিক ষড়ন্ত্রও আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে।
আওয়ামী লীগকে আত্মসমালোচনা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সঙ্গে সরকারের আপোস বন্ধ করতে হবে। শুধু জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, তাদের আর্থিক ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ করলে আমরা সুফল পাব। যেসব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হয়েছে তাদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করতে হবে।