মোবাইল ইন্টারনেটে ফের বন্ধ ফেসবুক-টেলিগ্রাম

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
এবার মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটে ফেসবুক ও টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করতে না পারার কথা বলছেন ব্যবহারকারীরা। তবে কেউ কেউ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে টেক্সট ও ছবি পাঠাতে পারছেন। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে এ মাধ্যম দুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড বন্ধ ছিলো দুই সপ্তাহ। ইন্টারনেট চালু করা হলেও বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল ফেসবুক। বুধবার সেগুলো চালু হলেও দুদিনের মাথায় শুক্রবার আবারো ফেসবুক বন্ধ করা হলো কিনা সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যদিও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বলছে, তারা ফেসবুক বন্ধ করেনি। সেরকম নির্দেশনাও পায়নি।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার পর থেকে অনেক জায়গায় মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ফেসবুকের অ্যাপে প্রবেশ করলেও ফিড রিফ্রেশ হচ্ছে না। সব পুরনো পোস্টই দেখাচ্ছে বলে জানান অনেক ব্যবহারকারী। এছাড়া ব্রাউজার ব্যবহার করেও ফেসবুকের সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসিন্দা দীপক হালদার নামে একজন ব্যবহারকারী জানান, দুপুর থেকেই ফেসবুকে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। আবার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো যাচ্ছে। ধারণা করে নিয়েছিলাম ফেসবুক বন্ধ। কিন্তু মেসেঞ্জার তো কাজ করছে। পাশাপাশি টেলিগ্রাম অ্যাপও ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
ফেসবুক সার্ভারে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে ‘ডাউনডিটেক্টর’ নামের সাইটে গিয়ে জানা যায়, এই মুহূর্তে কোথাও ফেসবুকের টেকনিক্যাল কোনো সমস্যা কেউ রিপোর্ট করেনি। এছাড়া মেটা তাদের প্রোডাক্টের কোনো ইস্যু বা অভিযোগ এখনো পাচ্ছে না বলে জানায় তাদের নিজস্ব ওয়েব ‘মেটা স্ট্যাটাসে’।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক বলেন, ফেসবুক বন্ধের কোনো নির্দেশনা পাইনি বা আমরা এরকম নির্দেশনা দিইনি। আমরা তো ফেসবুক উন্মুক্ত করে দিলাম।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতা শুরু হলে গেল ১৭ জুলাই রাত থেকে দুই সপ্তাহ ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক বন্ধ ছিল। পরে ৩১ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফের চালু হয়।
এছাড়া ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। আর ১০ দিন পর ২৮ জুলাই চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট। ধরিগতির ইন্টারনেট ফিরলেও বন্ধ ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফর্মের কাছে চিঠি দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
এরপর ৩১ জুলাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব থেকে ই-মেইলে ব্যাখ্যা এবং টিকটকের প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন। এরপর এসব প্ল্যাটফর্ম খোলে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরো পড়ুন : নিহত আবু সাঈদের নামে এবার নতুন বাংলা ফন্ট