কারফিউ চলাকালে ঘর থেকে বের হলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৫ এএম

ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ চলছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কার্যকর হয়েছে। এই কারফিউ চলাকালে ‘বিশেষ ও জরুরি প্রয়োজন’ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলেই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রবিবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি। এসময় কমিশনার হাবিবুর রহমান কারফিউ চলাকালে কাউকে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করেন। বের হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জামায়াত, শিবির ও বিএনপির নাশকতাকারীরা রাস্তায় নেমেছে। তাদের দমাতে যেভাবেই আইন প্রয়োগ করলে হবে, সেভাবেই করা হবে। সরকার সহানুভূতিশীল হয়ে আটক সাধারণ শিক্ষার্থীদের ইতোমধ্যে মুক্তি দিয়েছে। তারপরও শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত শিবির নাশকতাকারী চক্র গতকাল থেকেই ভয়াবহ নাশকতা ও অগ্নিসন্ত্রাস করছে।
দিনভর সংঘর্ষ ও তাণ্ডবের সহিংসতার বিবরণ তুলে ধরে কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীর ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, শাহবাগ, প্রেসক্লাব, বাংলা মটর, মোহাম্মদপুর, কাজলা, উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও নজীরবিহীন সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তারা রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল বোমাসহ সমবেত হয়ে নিরীহ জনগণ ও পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়।
তিনি আরো বলেন, কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারে এবং কোথাও যেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকার পতনের একদফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকার ১৯টি থানাসহ পুলিশের ২৬টি স্থপনায় হামলা হয়েছে। এসব হামলার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হামলাটি হয়েছে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায়। সেখানে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
এ অবস্থায় নাশকতাকারী, অগ্নিসংযোগকারী ও পুলিশ হত্যাকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে বলে সতর্ক করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাধ্য হলে তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপি আইনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে বাধ্য হবে। কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল সেখানে আন্দোলনকারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা ঢাকাসহ সারা দেশে নজীরবিহীন অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়েছে।