যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু, যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
স্বল্প দুরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আর আগামী বৃহষ্পতিবার (১৫ আগস্ট) থেকে চলবে দুর পাল্লার সব ধরনের আন্তঃনগর ট্রেন।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের ট্রেন চলাচল। ২৪ দিন পর আজ (মঙ্গলবার) থেকে সারা দেশে আবারো ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ থেকে মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু করেছে।
এর ফলে যাত্রীদের সুবিধা হয়েছে, তারা ট্রেন চলাচল করায় স্বস্তি প্রকাশ করে বলেছেন, যানজট এড়াতে ট্রেনের বিকল্প নেই। নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা মো. হামিদ বলেন, নারায়নগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসতে প্রচুর যানজটে পড়তে হয়, ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় দ্রুত ও স্বস্তিতে রাজধানীতে আসা যাওয়া সম্ভব হবে। এতে অফিস যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা হবে বলেও জানিয়েছেন গাজীপুরের চাকরিজীবী সজল দাস।
এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পরে মঙ্গলবার থেকে স্বল্প দুরত্বের মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
আরো পড়ুন: সীমান্তে বিজিবি আর পিঠ দেখাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এদিন কমলাপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের বেশ ভিড় ছিল। ট্রেনগুলোও সময়মত ছেড়ে গেছে। এর ফলে যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তিনি জানান, আগামী বৃহষ্পতিবার থেকে দেশের সব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ইতোমধ্যে অনলাইনে টিকেট ইস্যু করা হচ্ছে। এদিকে আজকে ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে, নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। তিনি বলেন, রেলওয়ে ট্রেন চলাচলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। স্টেশন, রেলপথ ও ট্রেনের মধ্যে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খান জানান, আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এই ট্রেনের টিকেট বিক্রিও শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। অন্য সব ট্রেন চললেও পারাবত ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের কিছু ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ায় চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। এর আগে গত সোমবার থেকে শুরু হয় মালবাহী ট্রেন চলাচল।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী ও ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হলে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরদিন ট্রেন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৯ জুলাই কারফিউ জারির পর থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল।