চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে রেলভবন ঘেরাও করে রেখেছে শ্রমিকরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রেল ভবন ঘেরাও করে রেখেছে রেলের প্রায় এক থেকে দেড় হাজার অস্থায়ী গেট কিপারা। তারা চাকরি স্থায়ী করা এবং ঠিকারি প্রতিষ্ঠানের আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে গেটকিপার নিয়োগের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২ টার থেকে নিউজ লেখা পর্যন্ত প্রায় এক থেকে দেড় হাজার অস্থায়ী গেট কিপার রেল ভবন অবরোধ করে রেখেছে। এর ফলে ভিতরে থাকা রেল সচিব, রেলের মহাপরিচালক, এডিজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
এবিষয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে ২০১২ সাল থেকে কাজ করা টঙ্গি অঞ্চলের গেট কিপার রিয়াজ উদ্দীন ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা দর্ঘিদিন ধরে প্রকল্পের আওতায় গেট কিপারের কাজ করছি। বর্তমানে আমাদের বাদ দেবার জন্য চক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ৯ মাস আমরা বেতন ভাতাদি পাচ্ছি না। ইতিপূর্বে আমরা অনেকবার আন্দোলন করেছি বিগত সরকারের আমলে। কিন্তু শুধু আশ্বাসই দিয়েছেন সাবেক রেলমন্ত্রী, সচিব, ডিজিরা।
সাবেক সরকার তাদের বাদ দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দেয়। যার ফলে আমরা প্রায় ২ হাজার গেট কিপার বেকার হয়ে পড়েছি।
আরো পড়ুন: আলোচিত সেই সচিব শাহ কামাল রিমান্ডে
এ বিষয়ে রেলের জনসংযোগ পরিচালক নাহিদ হাসান খাান বলেন, আমরা সচিব, ডিজিসহ সবাই অবরুদ্ধ হয়ে আছি। অস্থায়ী গেট কিপারদের যে দাবি সেটা অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা না বলে মেটানো যাচ্ছে না। কেননা, অর্থমন্ত্রণালয় অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ না করার নির্দেশনা দিয়েছে। সেকারণে অস্থায়ী গেট কিপারদের দাবি মানতে হলে আগে অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসতে হবে ত্রিপাক্ষিক ভাবে।
যদিও এবিষয়ে এই অস্থায়ী গেট কিপার শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি কাউসার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান জানান, দীর্ঘক্ষণ রেল ভবন অবরোধের পরে সচিব ও ডিজি তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন, দেখা যাক কি সিদ্ধান্ত দেন তারা।
এদিকে রেল ভবনের গেট ও কাচের দরজা ভাঙচুর করা হয়েছে এবং রেল ভবনের আরএনবির কর্মীদের সঙ্গে শ্রমিকদের হাতাহাতির খবর পাওয়া গেছে।
অস্থায়ী রেলকর্মীরা জানান, সারাদেশে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে সাত হাজার অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অথচ যারা ইতিমধ্যে ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে রেলওয়েতে কাজ করছেন। ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে তাদের স্থায়ী করার চুক্তি ছিল। কিন্তু আজও রেল ওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের স্থায়ী করেনি। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অস্থায়ী রেলকর্মীরা।