দেশের অর্থনীতিকে টেকসই করতে পাট পণ্যের বিকল্প নেই: আনু মুহাম্মদ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
দেশের অর্থনীতি টেকসই করতে পাট ও পাটজাত পণ্যের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ আনু মুহম্মদ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ‘রাষ্ট্রায়ত্ত পাটখাত চালু: সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ। এ সময় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আনু মুহম্মদ, পরিষদের অন্যতম নেতা শামীম ইমাম, সিপিবির আব্দুল্লাহ আল ক্বাফী রতনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে আনু মুহাম্মদ বলেন, পাটখাতকে গুরুত্ব না দিয়ে নতুন বাংলাদেশে টেকসই অর্থনীতি তৈরি করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশকে যদি নতুন দেশ হিসেবে দাঁড় করাতে হয়, তাহলে পাটকে কেন্দ্র করেই তা করতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টেকসই করতে পাটের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, এর সঙ্গে পাট এবং পাটকলের সঙ্গে অনেক শ্রমিকের যেমন ভাগ্য জড়িত, ঠিক তেমনি দেশের মানুষের এবং অর্থনীতির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এমন কেউ আসেনি যারা পাট খাতকে গুরুত্ব দিয়ে কোন নীতিমালা তৈরি করেছে। সব সরকারই পাট খাতকে গুরুত্ব কম দিয়েছে।
আরো পড়ুন: বাধ্যতামূলক অবসরে অতিরিক্ত আইজিপি কৃষ্ণ পদ রায় ও ডিআইজি মোজাম্মেল
আনু মোহম্মদ বলেন, শুরু থেকেই যদি পাটকে আমরা প্রধান শিল্প হিসেবে চিন্তা করতাম, তাহলে সারা পৃথিবীতে পরিবেশবান্ধব শিল্প হিসেবে বাংলাদেশ একটি মডেল হত। এখন নতুন একটা ঝুঁকি নিতে হবে। গবেষণা করতে হবে। শুরুতেই মুনাফা আসবে না এই খাতে। তাই এখানে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট লাগবে। কারণ এখানে প্রাইভেট সেক্টর দ্রুত মুনাফা পাবে না। ছেড়ে চলে যাবে। এসময় সরকারকে পাটখাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, অবিলম্বে পাটখাতে কি কি দুর্নীতি হয়েছে, কিভাবে শ্রমিকদের ঠকানো হয়েছে, এসব নিয়ে শ্বেতপত্র বের করুন এবং সামনে এই সম্ভাবনাকে কিভাবে কাজে লাগাতে হবে তা নিয়ে একটি রুপরেখা দেন। এটা করার ক্ষমতা এই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের আছে।
সেমিনারে লিজ-পিপিপির নামে বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৬টি পাটকলের ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যক্তিখাতে চলে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। পাশাপাশি ২৬টি সরকারি পাটকলসহ দেশের ৭৭টি পাটকল পরিচালনা করতে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন-বিজেএমসির বর্তমান কাঠামোকে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ। তারা অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাওয়া পাট কলগুলো দ্রুত চালু, বেকার শ্রমিকদের ন্যায্য মুজুরি ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান।