ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৫ কিলোমিটার যানজট

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম

শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার সড়কে ছিল তীব্র যানজট। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিনভর যানজটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে একটি গাড়ি উল্টে যাওয়ায় ঘটনার পর থেকে যানজটের সৃষ্টি হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। সকালের সেই যানজটের রেশ চলে শুক্রবার দিনভর। বিকাল পর্যন্ত ওই অংশে প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে যানজট অব্যাহত ছিলো। যানজটের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গণপরিবহন এবং পণ্য পরিবহনের যাত্রী ও চালকরা।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল হক জানিয়েছেন, ভেরের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়নগঞ্জ অংশে মোগড়াপাড়ার কাছাকাছি সড়কের ওপর একটি পণ্যবাহি ট্রাক উল্টে যায় বলে শুনেছি। এরপর থেকেই যানজটের সৃষ্টি হতে থাকে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি সরিয়ে নিতে বেশ কয়েকঘণ্টা সময় লাগে। এসময় মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ১৫ কিলোমিটারের বেশি যানজটের ফলে এখানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
একটি বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ট্রাক চালক জুবায়ের হোসেন জানিয়েছেন, তিনি মেঘনা উপজেলার দিকে যাচ্ছেন। কিন্তু সকালে রওয়ানা হলেও চার ঘণ্টায়তিনি নারায়ণগঞ্জ এলাকা ছাড়তে পারেননি। শুনেছি সকালে একটি গাড়ি মহাসড়কের ওপর উল্টে যাওয়ার পর থেকে যানজট শুরু হয়।
অপর এক গাড়ি চালক বলেন, মহাসড়কে সকালের দিকে যানজট শুরু হয়। এসময় গাড়িগুলো সারিবদ্ধবভাবে ছিলো। কিন্তু এসময় বন্যাত্বদের কাছে পাঠানো সরকারী ও বেসরকারি ত্রাণের মালামালের গাড়িসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহনগুলো ফাঁকফোকর দিয়ে এবং অনেক গাড়ি ঢাকামুখী লেন হয়ে এলোপাতাড়িভাবে সামনে দিকে এগিয়ে যাওয়ায় যানজট আরো তীব্র আকার ধারন করে। এখন কোনো গাড়ি আর যেন সরছে না। সকালের যানজটের রেশ দিনভর চলছে। প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের উভয় দিকেই যানজট রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী লেনে দীর্ঘ যানজট রয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মোগড়াপাড়া যাওয়ার বাসসহ সব ধরনের যানবাহন আটকা পড়েছে। দুপুরের দিকে সিদ্দিরগঞ্জ থেকে প্রায় একঘন্টা লেগেছে শিমরাইল পর্যন্ত যেতে। এরপর যাত্রীরা বাস থেকে নেমে সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। অনেকে আবার ছোট পরিবহনে উঠে গ্রামের অলিগলির ভেতর দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
বাসযাত্রী আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকামুখী ছোট যানবাহনে মদনপুর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত মোটা অংকের ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে বিকল্প উপায়ে চলাচল করেছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা। সিএনজি চালক রফিক জানিয়েছেন, মহাসড়কে যানজট ঠেলে কাঁচপুর যেতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। একারনে কুতুবপুরসহ এলাকার গ্রামের ভেতরের অলিগলি দিয়ে কাঁচপুরের কাছাকাছি মহাসড়কে যাত্রীদের নিয়ে নামিয়ে দেবো। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যাওয়ার ফলে ভাড়া একটু বেশি নিতে হচ্ছে। ঢাকামুখী সড়কেও যানজট রয়েছে। সহজভাবে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।
এদিকে ভাদ্র মাসের তীব্র গরমে গণপরিবহনের যাত্রীদের হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়। যানজটে আটকে থেকে অনেকেই রাস্তায় নেমে স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা করেন। নারী ও শিশুদের অবস্থা ছিলো সবচেয়ে করুণ।