×

জাতীয়

নাফিজ সরাফত ও বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তে সিআইডি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পিএম

নাফিজ সরাফত ও বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তে সিআইডি

চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

   

আর্থিক খাতে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে নাম উঠে আসা চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। এছাড়াও একই অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপ ও এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের বিশেষায়িত এ ইউনিটটি। রবিবার (১ সেপ্টম্বর) সিআইডির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নাফিজ সরাফাত ও তার স্ত্রী আনজুমান আরা শহীদ ও হাসান তাহের ইমামের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অনিয়মের বিষয়ে তৈরী করা নথি নিয়ে সম্প্রতি সিআইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পাচারসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য তুলে ধরা হয়। 

নথিতে বলা হয়, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী আনজুমান আরা শহীদ ও হাসান তাহের ইমামের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। নাফিজ সরাফাত ২০০৮ সালে রেইস ম্যানেজমেন্ট পিসিএল নামে একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির লাইসেন্স নেন। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে ছিলেন হাসান তাহের ইমাম। এতে আরো বলা হয়, রেইসের অধীনে বর্তমানে ১৩টি ফান্ড রয়েছে। ফান্ডের অর্থ ব্যক্তিস্বার্থে বিনিয়োগ করে নাফিজ সরাফাত, আনজুমান আরা শহীদ ও হাসান তাহের ইমাম ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) পরিচালক বনে যান। একই কৌশলে নাফিজ সরাফাত তার স্ত্রীকে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক বানান। তবে এতে ফান্ডের কোনো লাভ হয়নি।

আরো পড়ুন: রেমিট্যান্সে সুবাতাস: আগস্টে এসেছে ২৬ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা

সূত্র জানায়, রেইস বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ১০টি মিউচুয়াল ফান্ড গঠন করে। ফান্ডগুলোর সম্মিলিত আকার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। ফান্ডের অর্থ দিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য যে এফডিআর খোলা হয়, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজোশ করে সেই এফডিআরগুলো ভেঙে ফেলা হয়। এর ফলে ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা কোটি কোটি টাকার মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

আরো জানা গেছে, এসটিডি/এসএনডি অ্যাকাউন্টে মাত্র তিন-চার শতাংশ সুদে ফান্ডের সাড়ে ৬০০ বা ৭০০ কোট টাকা জমা রাখা হয়। সুদের দুই-তিন শতাংশ অর্থ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজোশ করে আত্মসাৎ করা হয়। শেয়ারবাজার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বণ্টনের নিয়ম থাকলেও রেইস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ নিয়ম মানেনি। বরং লভ্যাংশের বেশিরভাগ টাকাই তারা আত্মসাৎ করেছে। 

আরো পড়ুন: পুলিশ বাহিনীতে ফের রদবদল

এছাড়া বিজিআইসি নামে ব্রোকারেজ হাউজে শেয়ার কেনার জন্য যে টাকা নেয়া হয়, সেই টাকায় ফান্ডের নামে শেয়ার না কিনে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের নামে শেয়ার কেনা হয়। এভাবে ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকার মুনাফা বঞ্চিত করে ওই টাকা তারা আত্মসাৎ করেন। মাঝে মধ্যে ফান্ডের টাকায় একটি কোম্পানির বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনে ইচ্ছা করেই শেয়ারের দাম বাড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধনও করেন তারা। এছাড়াও, চৌধুরী নাফিজ সরাফত রেইস ম্যানেজমেন্ট পিএলসির চেয়ারম্যানের পাশাপাশি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডেরও চেয়ারম্যান। ২০১৮ সালে রাজুক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১৭১.১৬ কাঠার একটি প্লট কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিকে বরাদ্দ দেয়। এতে সরকারের ক্ষতি হয় ৭৭ কোটি টাকা। 

বেক্সিমকো গ্রুপের আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে সিআইডির প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেক্সিমকো গ্রুপ গত ১৫ বছরে ৭টি ব্যাংক থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। বেক্সিমকো গ্রুপ জনতা ব্যাংক থেকে ২১ হাজার ৬৮১ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৫২১৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৯৫ কোটি, সোনালী, অগ্রনী ও রুপালী ব্যাংক থেকে ৫৬৭১ কোটি ও এবি ব্যাংক থেকে ৬০৫ কোটি টাকাসহ মোট ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপ গত কয়েক বছরে বাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। সৌদি আরবে যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসের বেশির ভাগ অর্থ বাংলাদেশ থেকে ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিং ও হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে। এসব বিষয়গুলোই সিআইডি এখন তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে।

প্রতিবাদ

বিষয়: রেস ম্যানেজমেন্ট পিসিএল ও ড. হাসান ইমামের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ও অভিযোগ সংশোধন

গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত "নাফিজ সরাফত ও বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তে সিআইডি' শিরোনামের প্রতিবেদনে রেইস ম্যানেজমেন্ট পিসিএল এবং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাসান তাহের ইমাম, এর বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আপনার সুপ্রতিষ্ঠিত পত্রিকার পক্ষ থেকে এই ভুল তথ্য প্রকাশ এবং প্রচার অনিচ্ছাকৃত হতে পারে, তবে এর ফলে আমাদের কোম্পানি এবং আমাদের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সুনামের উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা বিশাল। তাই, আমরা আপনার কাছে সম্মানের সাথে অনুরোধ করছি যে, প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভুল তথ্যগুলি সংশোধন করুন এবং নিম্নলিখিত তথ্যগুলি আপনার পাঠকদের কাছে প্রতিবাদলিপি হিসেবে উপস্থাপন করুন:

১. ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট (এফডিআর) মেয়াদপূর্তির আগে বন্ধ করার অভিযোগটি মিথ্যা এবং রেইস ম্যানেজমেন্টের তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

এটি সম্ভবত চৌধুরী নাফিজ সরাফতের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার কারণে উদ্ভূত হয়েছে, যা রেইসের সাথে সম্পর্কিত নয়। রেইস ম্যানেজমেন্টের পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলো সাধারণত এফডিআরে নগদ জমা রাখে না; রেইস ম্যানেজমেন্টের ফান্ডগুলোর তহবিলে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকার সম্পদের মধ্যে ২০১২ সাল থেকে মাত্র একটি দীর্ঘমেয়াদী এফডিআর রয়েছে যার মূল্য ১ কোটি টাকা (সম্পদের ০.৩% এর কম)। স্বল্প মেয়াদী কিছু এফ ডি আর থাকলেও তা কোনো মেয়াদপূর্তির আগে বন্ধ করা হয়নি। তারল্যের জন্য, রেইস পরিচালিত ফান্ডগুলি ব্যাংকে সর্বোচ্চ সুদে শর্ট নোটিস ডিপোজিট (এসএনডি) আকারে জমা রাখে। উদাহরণস্বরূপ, গত বছর এই তহবিলগুলি তাদের শর্ট নোটিস ডিপোজিট আমানত থেকে গড়ে ৮% সুদ পেয়েছে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত গড় এসএনডি হার ছিল ৬%। তাই, রেইস পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলি ৬০০-৭০০ কোটি টাকা এফডিআর-এ রেখেছিল এবং সেগুলি সময়ের আগে বন্ধ করে বা কম মূল্যে এসএনডি তে নগদ রেখেছিল এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং মনগড়া। আমরা এই অভিযোগটি প্রত্যাখ্যান করছি।

২. ওভার ইনভয়েসিং এর অভিযোগ: আমরা বিশ্বাস করি এই অভিযোগটি রেইস পরিচালিত প্রাতিষ্ঠানিক তহবিলগুলিতে প্রযোজ্য নয় এবং এটি চৌধুরী নাফিজ সরাফতের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য সংস্থাগুলির সাথে প্রযোজ্য হতে পারে, যা রেইস থেকে আলাদা।

রেইস পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলিতে কোনো ওভার ইনভয়েসিং এর ঘটনা নেই। রেইস পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলি মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে সর্বনিম্ন ব্যয় অনুপাত বজায় রাখে, যা বিএসইসির রিপোর্ট দ্বারা যাচাই করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএসইসি মোট ২১টি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যয় অনুপাতের তুলনা করেছে। মিউচুয়াল ফান্ডগুলির কাছে বড় আকারের ব্যয়গুলি হল বিএসইসি ফি, ট্রাস্টি ফি, কাস্টোডিয়ান ফি, অডিট ফি এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফি যা সূত্র দ্বারা নির্ধারিত এবং তহবিলের ট্রাস্টিকে রিপোর্ট করা এবং অনুমোদিত হয়। রেইস পরিচালিত তহবিলগুলিতে কখনও ওভার ইনভয়েসিং অভিযোগ ওঠেনি।

৩. ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডে বিনিয়োগ:

ক) রেইস পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডে প্রি-আইপিও প্রাইভেট ইক্যুইটি তে বিনিয়োগ করেছে, যা বিএসইসির চিঠি নম্বর SEC/MF & SPV/MF- 02/2009/467, তারিখ ৩১ মে, ২০১২ অনুমোদিত এবং সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা ২০০১ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ব্যাংক শেয়ারগুলি যখন সেক্টরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করছিল এবং ১০ টাকা নমিনাল মূল্যের বিপরীতে ২ থেকে ৩ গুণ মুনাফা করেছিলো, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক ৭টি নতুন ব্যাংকিং লাইসেন্স ইস্যু করার ঘোষণা দেয় যেগুলো আইপিও তে আসতে বাধ্য ছিল। বাজারের নিম্নমুখী অবস্থায়, নতুন ব্যাংকগুলিতে ইক্যুইটি বিনিয়োগ অত্যন্ত আকর্ষণীয় ছিল। ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং রেইস পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলি ফারমার্স ব্যাংক শেয়ারে বিনিয়োগ করে এবং এর বোর্ডে মনোনীত পরিচালক নিয়োগ করে। ড. হাসান ইমাম ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে অংশ নেননি। শুধুমাত্র সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ব্যাংকটি অধিগ্রহণ করার পর এবং বোর্ডে নিযুক্ত উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন ম্যানেজিং ডিরেক্টরদের নিয়োগ করার পর ড. ইমাম বোর্ড সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তবে, তিনি এককভাবে ব্যাংকের পথপ্রদর্শনে অক্ষম থাকায়, ২০২১ সালে তিনি পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি ০২ মার্চ, ২০২৩ তারিখের চিঠি Ref: EBLNRBMF/COM/02MAR2023 এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করার পর তার পদত্যাগপত্রটি ব্যাংকের বোর্ড দ্বারা গৃহীত হয়।

উল্লেখ্য যে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড) এর সাথে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ একটি বিনিয়োগকারী সুরক্ষা কাঠামোর অধীনে বন্ধক রাখা সম্পদ (SPV) দ্বারা সুরক্ষিত। এই বিনিয়োগের পরিমাণ তহবিলের সম্পদের ২% এর কম এবং তাই ছোট একটি বিনিয়োগ হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে।

খ) রেইস ম্যানেজমেন্টের তহবিলগুলির সাউথইস্ট ব্যাংকে কোনো উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ নেই এবং চৌধুরী নাফিজ সরাফতের বোর্ডের নিয়ন্ত্রণের সাথে রেইসের কোনো সংযোগ নেই।

৪. বিএসইসি'র ৭০% লভ্যাংশের নিয়ম মান্য করা:

ক) রেইস ফান্ডগুলির শুরু থেকেই সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল

ফান্ড) বিধিমালা ২০০১ এর ধারা ৬৬ অনুসারে লভ্যাংশ নিয়মের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিচালিত হয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে একটি মিউচুয়াল ফান্ডকে তার বার্ষিক আয়ের ৭০% ইউনিট হোল্ডারদের বিতরণ করতে হবে।

খ) রেইস পরিচালিত তহবিলগুলি ২০০৯-২০২৩ সময়কালের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে সর্বাধিক পরিমাণে লভ্যাংশ প্রদান করেছে। বিগত ১৫ বছরের বেশিরভাগ সময়কালে শেয়ার বাজারের নিম্নমুখী অবস্থার পটভূমিতে থেকেও, রেইস ফান্ডগুলি ১৮২৮.৯০ কোটি টাকা লভ্যাংশ প্রদান করেছে যা পুরো মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রদত্ত মোট লভ্যাংশের ৫১% (৩৫৩৯.০৪ কোটি টাকা)।

৫. মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং রেইসের ভূমিকা:

ক) ১২ আগস্ট ২০১৮ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল নিম্নমুখী পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এর মধ্যে একটি পদক্ষেপ ছিল আইসিবি ইউনিট ফান্ডের মেয়াদ ২ বছরের জন্য বাড়ানো এবং সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আইসিবি পরিচালিত তহবিলগুলোকে অর্থায়ন করা। এই স্থিতিশীলতা প্রদানের ধারাবাহিকতায়, মন্ত্রণালয় পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে, সমস্ত মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ এক মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় যাতে অধিকাংশ ফান্ড একসাথে রিডেমশন না হয়ে পুঁজিবাজারে তীব্র চাপ সৃষ্টি না করে। এই লক্ষে একটি কমিটি গঠন করা হয়, যার মধ্যে ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, আইসিবি অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু রেইস বা অন্যান্য অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না যাতে কোনো স্বার্থের সংঘাত না ঘটে, তারা এই মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। রেইস, আইসিবি, এইমস, এলআর গ্লোবাল, প্রাইম ফাইন্যান্স সহ মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডগুলির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিল এবং অনুমোদন পেয়েছিল। রেইসের আবেদন বিএসইসি চিঠি নং বিএসইসি/এমএফ অ্যান্ড এসপিভি/এমএফ- ০২/২০০৯/১১১৫, তারিখ ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। তাই মিউচুয়াল ফান্ডগুলির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকার এবং বাজার মধ্যস্থতাকারীরা রেইসকে বাদ দিয়ে যে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং তারপর সমস্ত ফান্ড ম্যানেজাররা এই সিদ্ধান্তের সুবিধা নেওয়ার জন্য তা বাস্তবায়ন করেছিল, তার জন্য রেইসকে অভিযুক্ত করা অন্যায্য, ভিত্তিহীন, এবং অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

খ) মেয়াদ বৃদ্ধির পর থেকে, রেইস পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলো তাদের বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬১০.৭১ কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছে, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। অন্য খাতের শেয়ারে বিনিয়োগের চেয়ে রেইস ফান্ডের বিনিয়োগের মুনাফা বেশি ছিল।

৬. আমরা এই সুযোগে আমাদের বিনিয়োগকারী এবং সমস্ত অংশীদারদের আশ্বস্ত করতে চাই যে রেইস পরিচালিত ফান্ডের সম্পদ নিরাপদ এবং আইসিবি ও ব্র্যাক ব্যাংকসহ তৃতীয় পক্ষের কাস্টডিয়ানদের দ্বারা রক্ষিত রয়েছে এবং এই সম্পদের ১০০% বিএসইসিতে রিপোর্টে হিসাবভুক্ত করা হয়েছে।

৭. আমরা লক্ষ্য করছি যে রেইস এবং ড. হাসান তাহের ইমামের নাম গণমাধ্যমে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং কিছু নিয়ন্ত্রক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সম্পর্কিত প্রকাশনাগুলির সাথে যুক্ত করা হচ্ছে। মি. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত অনেক প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট ব্যাংকিং এবং পুঁজিবাজারের সাথে জড়িত, যা রেইস এবং ড. হাসান তাহের ইমামের থেকে আলাদা। রেইস এবং ড. হাসান ইমাম শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, বিএসইসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং মি. নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে আদালতে একাধিক চলমান আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। সুতরাং এই ব্যক্তিদের সাথে দোষী হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত করা উচিত নয় এবং রেইস ও ড. ইমামের কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত সুনামকে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ক্ষুণ্ণ করা উচিত নয়।

উপরোক্ত নিবন্ধে অন্তর্ভুক্ত কিছু ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য এই প্রতিবাদপত্রটি প্রকাশের ক্ষেত্রে আপনার সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

বিনীত নিবেদক, রেইস পাবলিক রিলেশনস

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App